রাঙ্গামাটিতে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটাই দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাত করে জয় ত্রিপুরা (২৫) নামে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে। এর পরে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জয় ত্রিপুরা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা বলেন, জয় ত্রিপুরা বুধবার মধ্যরাতে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক জমির উদ্দিন ভাইকে অসুস্থতাজনিত কারণে মধ্যরাতে হাসপাতালে ভর্তি করান। বাসায় ফেরার পথে পোস্ট অফিসের সামনে তাকে কে বা কারা ছুরি দিয়ে আঘাত করে ফেলে যায়।
ঘটনার সময় হাসপাতালে থাকা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা জমির ভাইকে নিয়ে চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য বের হয়ে বাসা থেকে কিছু কাগজপত্র আনার জন্য হাসপাতালের গেটের কাছেই অ্যাম্বুলেন্সে অপেক্ষা করছিলাম। তখনই হঠাৎ কিছু ছেলেকে হইচই করতে দেখি এবং তারা কাউকে মারধর করছিল। যেহেতু আমরা রোগী নিয়ে টেনশনে ছিলাম তাই ওইদিকে মনোযোগ কম ছিল। পরে দেখি একটা ছেলে হাসপাতালের মেইন গেটের কাছে কাতরাচ্ছে। আমি তাৎক্ষণিক ওসিকে ফোন করে বিষয়টি জানাই।’
কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ কবির হোসেন বলেন, রাতে ফোন পেয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশ গিয়ে জয় ত্রিপুরাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি আমরা। প্রাথমিকভাবে এই হত্যাকাণ্ডে চার-পাঁচজন যুবকের উপস্থিতি থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি সাইফুল আলম রাশেদ বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে শুক্রবার ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ডাক দেয়া হয়েছে। অতি দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সূত্র: দেশ রূপান্তর