• সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক পরিবর্তন নিয়ে যা লিখলেন সারজিস
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক পরিবর্তন নিয়ে যা লিখলেন সারজিস
সংস্কারের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও আনসারের পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অভিমত জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘স্বভাব, চরিত্র, খাসলত পরিবর্তন না করে পোশাক পরিবর্তনে কোনো লাভ নাই। সমস্যা পোশাকে না, পুরো সিস্টেমে।’ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেন। তিনি বলেন, তিনটা সংস্থার (পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের) জন্য পোশাক সিলেক্ট করা হয়েছে। এটা পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন করা হবে। একসঙ্গে সব করা সম্ভব নয়। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। এক প্রশ্নে জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পোশাকের সঙ্গে আমাদের সবার মন মানসিকতারও পরিবর্তন হতে হবে। আমাদের সবাইকে দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে হবে। তাহলেই অনেক কিছুই পরিবর্তন হবে। গত ১৫ বছর তাদের যে ট্রেনিং ছিল সেই ট্রেনিংও পরিবর্তন করতে হবে, তাদের মানবিক হতে হবে।

অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সময় বেঁধে দিলো বাংলাদেশ

অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সময় বেঁধে দিলো বাংলাদেশ

ড. ইউনূসকে বেইজিং নিতে আগ্রহী চীন, পাঠাতে চায় বিশেষ বিমান

ড. ইউনূসকে বেইজিং নিতে আগ্রহী চীন, পাঠাতে চায় বিশেষ বিমান

বনানীর সড়ক ছেড়েছেন সিএনজি চালকরা, যান চলাচল স্বাভাবিক

বনানীর সড়ক ছেড়েছেন সিএনজি চালকরা, যান চলাচল স্বাভাবিক

সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

আমরা ভোটকেন্দ্র পাহারা দেব, দখল হতে দেব না : সিইসি

আমরা ভোটকেন্দ্র পাহারা দেব, দখল হতে দেব না : সিইসি

জুলাই ঘোষণা নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে

জুলাই ঘোষণা নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফ্যাসিবাদের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল : রিজভী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফ্যাসিবাদের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল : রিজভী
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফ্যাসিবাদের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।  সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মলচত্বরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন’ কর্তৃক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।  কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. ফরহাদ হালিম ডোনার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোরশেদ হাসান খান, প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক লুৎফর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন এতে।  রিজভী বলেন, আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, এটা যে কত আনন্দের, উচ্ছ্বাসের তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আসতাম তখন কত বক্তৃতা, কত রাজনৈতিক বিতর্ক, আলোচনা আমরা মধুর ক্যান্টিন থেকে করেছি। সেই আনন্দের দিন যেন হারিয়ে গিয়েছিল।  তিনি বলেন, আমরা কখনো কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সাহস পেতাম না। মাঝেমধ্যে যদি যেতামও তখন গাড়ির জানালাটা নামিয়ে দিতাম যাতে কেউ না দেখে। শেখ হাসিনার আমলে ১৬ বছর এই ধরনের একটি চরম ফ্যাসিবাদের প্রাণকেন্দ্র ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তারা পরিবেশকে চারিদিক থেকে বিপন্ন করেছিল।  ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমরা পৃথিবীতে ছাত্র রাজনীতির যত ইতিহাস পড়েছি, যখন এক নায়কের শাসন চলছিল তখনও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কর্পোরেট স্বায়ত্তশাসন বজায় রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তখনো আন্দোলন চলেছে। কিন্তু হাসিনা সে সবকিছু নষ্ট করে দিয়েছিল।  রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ইতিপূর্বে যারা দেশের টাকা পাচার করেছে, অর্থনীতিকে একটি হুন্ডির চক্রের মধ্যে আবদ্ধ করে রেখেছিল তাদের যেন ফের উত্থান না ঘটে। গণতান্ত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে একে অপরের প্রতি আলোচনা-সমালোচনার বিষয়টি থাকলেও, আমাদের মধ্যে একটা ন্যূনতম ঐক্য থাকতে হবে। এই ঐক্য যদি না থাকে তাহলে সেই ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঘটা অস্বাভাবিক হবে না। আপনারা জানেন, পাশের একটি দেশ ফ্যাসিবাদের সেইফ হোমে পরিণত হয়েছে। দিল্লি যেন ফ্যাসিবাদের একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে। সুতরাং তারা (ফ্যাদিবাদিরা) বসে নেই। তারা নানাভাবে নানা কায়দায় তারা তাদের চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এই ষড়যন্ত্রকে আমাদের সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করতে হবে। গণতান্ত্রিক শক্তির সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে এই জিনিসগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হবে। 

কাতারের আমিরকে ধন্যবাদ জানিয়ে পত্র দিলেন তারেক রহমান

কাতারের আমিরকে ধন্যবাদ জানিয়ে পত্র দিলেন তারেক রহমান

‘দলগুলোর ঘাড়ে বন্দুক রেখে আ.লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে সরকার’

‘দলগুলোর ঘাড়ে বন্দুক রেখে আ.লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে সরকার’

বৈষম্য তৈরি করলে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করব : মান্না

বৈষম্য তৈরি করলে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করব : মান্না

কোভিডের মতো ভয়ংকর নয় এইচএমপিভি, সতর্কতারও কিছু নেই

কোভিডের মতো ভয়ংকর নয় এইচএমপিভি, সতর্কতারও কিছু নেই

অবশেষে ভারতেও ছড়াল এইচএমপিভি ভাইরাস, আক্রান্ত ২ শিশু

অবশেষে ভারতেও ছড়াল এইচএমপিভি ভাইরাস, আক্রান্ত ২ শিশু

ডেঙ্গুতে আরো ৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮৮২

ডেঙ্গুতে আরো ৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮৮২
ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিয়েছে হামাস
ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিয়েছে হামাস
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। চুক্তির প্রথমদিনই রোববার (১৯ জানুয়ারি) ইসরায়েলি তিন জিম্মিকে মুক্তি দিচ্ছে হামাস। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, গাজার আল-সায়রা স্কয়ারে রেডক্রসের হাতে এই জিম্মিদের তুলে দিয়েছে হামাস। রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তিন ঘণ্টা বিলম্ব হয়। এই সময়ের মধ্যে হামলা চালিয়ে ২০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। হামাস তিন জিম্মির নামের তালিকা না দেওয়ায় নির্ধারিত সময়ে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে বেঁকে বসেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। পরে নামের তালিকা প্রকাশ করায় ইসরায়েলি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি শুরুর ঘোষণা দেন। এরপরই বাস্ত্যচ্যুত সাধারণ ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেন। যদিও অনেকের বাড়ির কোনও অস্তিত্ব নেই। তবে কেউ কেউ বলেছেন, বিধ্বস্ত বাড়ির ওপরই তাঁবু তৈরি করে থাকবেন। তারা চান নিজেদের চিরচেনা এলাকায় ফিরে যেতে। তারা আবারও প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে আগের মতো সময় কাটাতে চান। প্রাথমিকভাবে ইসরায়েলি তিন জিম্মির মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হামাসের এক জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি জানিয়েছেন, চুক্তি অনুযায়ী, তিন নারী জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “পশ্চিম গাজা সিটির আল রিমাল এলাকার আল-সায়রা স্কয়ারে তিন নারী জিম্মিকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রেডক্রসের সদস্যরা জিম্মিদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। এরপরই তাদের তুলে দেওয়া হয়।” হামাসের যোদ্ধারা জিম্মিদের রেডক্রসের হাতে তুলে দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীও। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, ‘‘রেড ক্রস আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছে, ইসরায়েলি তিন জিম্মিকে তাদের কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে। তারা (রেডক্রস) গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যদের কাছে হস্তান্তরের জন্য জিম্মিদের নিয়ে যাচ্ছে।’’ ইসরায়েলের বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, চুক্তির প্রথম ধাপের অংশ হিসাবে রোববার ৭৩৭ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। আর কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল-থানি বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতিতে গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ৩৩ জন মুক্তি পাবেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজার বেশিরভাগ এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি এই বর্বর যুদ্ধে ৪৬ হাজার ৮৯৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন; যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। সূত্র: এএফপি, রয়টার্স, আলজাজিরা।

গাজায় অবশেষে যুদ্ধবিরতি শুরু

গাজায় অবশেষে যুদ্ধবিরতি শুরু

বিধ্বস্ত গাজায় মুক্তির আশা, প্রহর গুণছেন ফিলিস্তিনিরা

বিধ্বস্ত গাজায় মুক্তির আশা, প্রহর গুণছেন ফিলিস্তিনিরা

নিয়ন্ত্রণে আসেনি দাবানল, এখনো জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্র

নিয়ন্ত্রণে আসেনি দাবানল, এখনো জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্র

গাজায় ৫ শিশুসহ আরও ৪৯ জনকে হত্যা করলো ইসরায়েল

গাজায় ৫ শিশুসহ আরও ৪৯ জনকে হত্যা করলো ইসরায়েল

কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে কারা?

কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে কারা?

তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১২৬, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত

তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১২৬, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প নিয়ে নতুন কর্মপরিকল্পনা
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প নিয়ে নতুন কর্মপরিকল্পনা
চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া মেগাপ্রকল্পসহ সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চপর্যায়ের টিম। সরকারের দু’জন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া আগামী মার্চের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য একটি টার্গেটও সংস্থাগুলোকে দেওয়া হবে। পূরণে ব্যর্থ হলে সংস্থাগুলোকে জবাবদিহি করতে হবে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাটে বারইপাড়া খাল খনন কার্যক্রম এবং আশপাশের খাল-নালার পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন তিন উপদেষ্টা। রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে চার উপদেষ্টা জলাবদ্ধতা নিরসন নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় গঠিত টিমে আছেন সরকারের চারজন উপদেষ্টা। তারা হলেন- মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আদিলুর রহমান খান ও ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক। এদিন দুপুরে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনকে নিয়ে বারইপাড়া খাল খনন কার্যক্রম পরিদর্শনে যান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। এ সময় সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসন সংক্রান্ত মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নকারী চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের দায়িত্বপ্রাপ্তরা উপদেষ্টাদের সার্বিক কার্যক্রম অবহিত করেন। পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিয়ে কী করা যায় সেটা দেখতে আমরা এসেছি। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে কতটুকু করা যায়, যাতে একটা দৃশ্যমান উন্নতি হয়। আগামীকাল (রোববার) আমরা সবার সঙ্গে সার্কিট হাউজে বসব। সেখানে আমরা একটা কর্মপরিকল্পনা সিলেক্ট করব। এ কর্মপরিকল্পনা সংস্থাগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যবারের উদ্যোগের সঙ্গে এবারের উদ্যোগের পার্থক্য হচ্ছে, যেসব সংস্থা এ কাজগুলো করতে ব্যর্থ, তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। এ কাজটা হয় নাই, এ কারণে হয় নাই- এসব অজুহাত কিন্তু শোনা হবে না। ব্যর্থতার যে দায়দায়িত্ব সেটা তাদের নিতে হবে। আমরা একটা দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখতে চাই। না হলে, এসব প্রকল্পের আদৌ প্রয়োজন আছে কি না, আমরা ভেবে দেখব।’ মার্চের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য কিছু কাজ সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে জানিয়ে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির বলেন, ‘আগের কাজের হিসেব দিতে হবে। আগের কাজগুলো ফলপ্রসূ হয়েছে কি না দেখতে হবে। আগের কাজ বাদ দিয়ে আমরা খালি প্রকল্পই করে যাব, ওয়াল বানিয়ে যাব এটা তো হতে পারে না। আমরা মার্চের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য একটা টার্গেট সংস্থাগুলোকে দিয়ে দেব। দেখব ওনারা কতটুকু অর্জন করতে পারেন, যদি না পারেন, তাহলে কেন পারলেন না, সেটার গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং সেটা আমরা বিশ্লেষণ করে দেখব।’ সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখানে সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ শুধু নয় ওয়াসা আছে, পোর্ট আছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড- আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে আগামীকাল বসবো। এটা এককভাবে কেউ সমাধান করতে পারবে না। সবগুলো সংস্থা যাতে একসঙ্গে কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে আমরা একটা উদ্যোগ নেব।’ চসিকের বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্প বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পটা ১১ বছর ধরে শুরু হয়েছে, এটা শেষ হয়ে যাওয়া দরকার ছিল। এখানে সমস্যাটা হচ্ছে, এখানে অনেকগুলো মামলা আছে। মামলার তালিকাগুলো আমরা নেব, মামলাগুলোর বিষয়ে কী করা যায়, সেটা আমরা দেখব। জমি অধিগ্রহণের একটি বিষয় আছে। কোথায় কোথায় জমি অধিগ্রহণ করতে হবে, সেটাও আমরা দেখব। এজন্য আমরা জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে কথা বলব।’ এদিকে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া প্রকল্পগুলো যদি সমস্যার সমাধান করতে না পারে, তাহলে সেগুলো নিয়ে সরকার নতুনভাবে চিন্তা করবে। পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা আছে।আমরা বোঝার চেষ্টা করব, এই প্রকল্পগুলো থেকে আমরা এই বর্ষায় কী সুফল পাব আর পরের বর্ষায় আমরা কী সুফল পাব। দীর্ঘদিনের সমস্যা একদিনে সমাধান হবে না, কিন্তু সমাধান তো হতে হবে।’ খাল ভরাটের জন্য তিনটি কারণ উল্লেখ করে রিজওয়ানা বলেন, ‘আমরা যেটা দেখলাম খালগুলো ভরাট হওয়ার তিনটা বড় বড় কারণ আছে। একটা হচ্ছে, ভূমি অফিসের যোগসাজশে খালের জায়গা ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড হয়ে সেখানে বড় বড় বিল্ডিং উঠে গেছে। আটতলা-ছয়তলা বিল্ডিংও উঠে গেছে। তিনটি স্পটে গিয়েই দেখলাম, বিল্ডিংয়ের কিছু কিছু অংশ ভাঙতে হয়েছে। দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে, পাহাড় কাটার পরে মাটিগুলো এসে খালের মধ্যে পড়ছে। আরেকটি হচ্ছে প্রচুর পলিথিন এবং প্লাস্টিক। গণমাধ্যম হিসেবে সচেতনতা গড়ে তোলেন যাতে কেউ পলিথিন এবং প্লাস্টিক ব্যবহার না করেন।’

বাংলাদেশে ঢুকে গাছের ডাল কাটল বিএসএফ, সীমান্তে উত্তেজনা

বাংলাদেশে ঢুকে গাছের ডাল কাটল বিএসএফ, সীমান্তে উত্তেজনা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ

চট্টগ্রামে সমন্বয়ক মাসউদের ওপর হামলার অভিযোগ

চট্টগ্রামে সমন্বয়ক মাসউদের ওপর হামলার অভিযোগ
আমার এলাকার সংবাদ
অনুসন্ধান
লন্ডনে চুরি যাওয়া ফোনের অবস্থান এক মাস পর দেখাচ্ছে চীনে
লন্ডনে চুরি যাওয়া ফোনের অবস্থান এক মাস পর দেখাচ্ছে চীনে
এপ্রিল মাস, শনিবারের এক ভোরে আকারা ইতেহ মধ্য লন্ডনের হোলবর্ন টিউব স্টেশনে হেঁটে হেঁটে আসার সময় নিজের ফোন ঘাঁটছিলেন। মুহূর্ত কয়েক পরই ইলেকট্রিক বাইকে আসা এক ছিনতাইকারী তাঁর হাত থেকে ফোন ছিনিয়ে নেয়। নিজের ফোন উদ্ধারে ছিনতাইকারীর পেছনে ছুট লাগিয়েছিলেন আকারা। কিন্তু ধরতে ব্যর্থ হন। আকারা একা এ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাননি; বরং এ বছর এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ড ও ওয়ালসে প্রায় ‘৭৮ হাজার’ ফোন ছিনতাই হয়েছে। গত বছরের তুলনায় যা অনেক বেশি। এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে বিচার হওয়ার হার খুবই কম। পুলিশের বক্তব্য, তারা দায়ী অপরাধীদের খোঁজ করে। কিন্তু তারা যেভাবে গায়েব হয়ে যায় বা এত ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করে যে তাদের গ্রেপ্তার করা কঠিন হয়ে যায়। এ ধরনের অপরাধের শিকার ব্যক্তিরা তাঁদের দুর্দশার কথা বিবিসিকে বলেছেন। বলেছেন, ফোন হারিয়ে গেলে এমন অনেক ছবি ও তথ্য হারিয়ে যায়, যেগুলো আর কখনো ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। সঙ্গে বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি তো আছেই। তাঁদের মধ্যে আকারার মতো অনেকে আরও একটি কারণে নিদারুণ হতাশায় ডুবে যান। আকারা তাঁর ফোনটি কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছে, তা অনলাইনে অনুসরণ করতে পারছেন; কিন্তু সেটি ফেরত আনার ক্ষমতা তাঁর নেই। ফোন ছিনতাই হওয়ার এক ঘণ্টা বা তার কিছু পরে বাড়িতে ফিরে আকারা তাঁর আইফোন ১৩ হারিয়ে গেছে (লস্ট মুড) অপশনটি চালু করেন। এটা করা হলে চোর ওই ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। এরপর আকারা তাঁর ল্যাপটপের সাহায্যে ‘ফাইন্ড মাই আইফোন’ ফিচার চালু করেন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে আকারা তাঁর ফোনটি কোথায় আছে, সেটা দেখতে পারেন। ল্যাপটপের স্ক্রিনে লন্ডনের বিভিন্ন জায়গায় নিজের ফোন ঘুরে বেড়াতে দেখেন আকারা। ফোন উদ্ধারের আশায় ল্যাপটপে দেখানো দুই জায়গায় নিজেই গিয়েছিলেন আকারা। তিনি বলেন, ‘এটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। উত্তেজনায়, রাগে আমি এটা করেছিলাম।’ আকারা অবশ্য কারও সঙ্গে কথা বলেননি। তবে বুঝতে পারছিলেন, তাঁকে কেউ অনুসরণ করছে। তিনি বাড়ি চলে যান। আকারা বলেন, ‘আমি খুবই ক্ষুব্ধ ছিলাম। ফোনটা দামি। ওই ফোন কিনতে আমি কঠোর পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করি এবং কেউ একজন সব ঘেঁটে দিল।’ আকারার ফোনটি যখন চুরি যায়, তখন রাস্তায় তিনি পুলিশ দেখতে পেয়ে তাদের সবকিছু খুলে বলেছিলেন। যদিও তাঁর মনে হয়েছে, পুলিশ কর্মকর্তারা জানতেন, ফোন চুরি করতে চোররা ওই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাকে অনলাইনে অভিযোগ করার পরামর্শ দেয় এবং তিনি সেটা করেন। কয়েক দিন পর ই–মেইল পাঠিয়ে পুলিশ আকারাকে জানায়, তাঁর ফোন চুরির মামলাটির তদন্তকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বলেছে, ‘সম্ভবত আমরা দোষীদের শনাক্ত করতে পারব না।’ যেখান থেকে ফোন চুরি হয়েছিল, সেখানকার ছবি ও কিছু তথ্য আকারা পুলিশকে দিয়েছিলেন। পুলিশ সেটা গ্রহণ করেছে। কিন্তু ফোন উদ্ধারে আর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফোন চুরির ঠিক এক মাস পর, মে মাসে আকারা তাঁর ‘ফাইন্ড মাই আইফোন’ আবার দেখেন। তখন সেটির অবস্থান দেখাচ্ছিল শেনজেন, চীন। আকারা এবার সব আশা ছেড়ে দেন। চুরি যাওয়া অনেক ফোনের শেষ গন্তব্য হয় শেনজেন। সেখানে যদি ফোনটি খোলা এবং নতুন করে ব্যবহার করা না যায়, তাঁরা সেটির যন্ত্রাংশ খুলে ফেলে এবং আলাদা আলাদা করে বিক্রি করে। ১ কোটি ৭৬ লাখ মানুষের শহর শেনজেন, বিশাল বড় একটি প্রযুক্তিনগরী। শেনজেনকে তাই চীনের সিলিকন ভ্যালি বলা হয়।

লন্ডনে গুরুতর অসুস্থ ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক

লন্ডনে গুরুতর অসুস্থ ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক

‘কনসার্ট ফর নিউ বাংলাদেশ’-এ গাইবেন জেমস-হাসান

‘কনসার্ট ফর নিউ বাংলাদেশ’-এ গাইবেন জেমস-হাসান

লন্ডনের মতো শহরের তাপমাত্রা কমাতে পারে সাদা রং

লন্ডনের মতো শহরের তাপমাত্রা কমাতে পারে সাদা রং

লন্ডনের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমকে ফেরত আনা হচ্ছে ঢাকায়

লন্ডনের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমকে ফেরত আনা হচ্ছে ঢাকায়

ইসরায়েলের হামলা বন্ধের দাবিতে দেশে দেশে বিক্ষোভ

ইসরায়েলের হামলা বন্ধের দাবিতে দেশে দেশে বিক্ষোভ

লন্ড‌নে প্রতি‌বেশীর ছুরি‌কাঘাতে বাংলা‌দেশি নিহত

লন্ড‌নে প্রতি‌বেশীর ছুরি‌কাঘাতে বাংলা‌দেশি নিহত
টাকা ছিটাচ্ছেন ট্রাম্প ও কমলা, কে এগিয়ে
টাকা ছিটাচ্ছেন ট্রাম্প ও কমলা, কে এগিয়ে
অক্টোবরে ১৬ দিনে ব্যয় ৬ হাজার কোটি টাকা। তহবিল সংগ্রহে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে কমলা। কমলার পক্ষে ভোটের জন্য অর্থ সংগ্রহ ১৮০ কোটি ডলার। ট্রাম্পের ২০২২ সাল থেকে এ পর্যন্ত সংগ্রহ ১০০ কোটি। ডেমোক্রেটিক পার্টির সমাবেশে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ক্লার্কস্টন এলাকায়। ছবি: এএফপি অপতথ্যের ছড়াছড়ি বিগত কয়েক নির্বাচন থেকে দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা। এবার অর্থকড়ির ছড়াছড়িও দেখছেন তাঁরা। সর্বশেষ ১৬ দিনে মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস, রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ব্যয় করছেন আধা বিলিয়ন অর্থাৎ ৫০ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৬ হাজার কোটি টাকা (১২০ টাকা প্রতি ডলার)। অর্থাৎ প্রতিদিন ব্যয় হয়েছে ৩৭৫ কোটি টাকা। নিউইয়র্ক টাইমসের গতকাল শুক্রবারের এক খবরে বলা হয়েছে, ভোটারদের তথ্য পেতে এবং বিজ্ঞাপনের জন্য এই অর্থ ব্যয় করছেন তাঁরা। ট্রাম্প ও হ্যারিসের প্রচার শিবির এই ১৬ দিনে ব্যয় করেছে ২৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। আর এই দুই নেতার পক্ষে অন্যরা ব্যয় করেছে ২৬ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুসারে নির্বাচনী প্রচারের ব্যয়ের হিসাব দিতে হয় নির্বাচন কমিশনে। সেই হিসাব সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। কমলা হ্যারিস ১ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় করেছেন ১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। নথি সূত্রে জানা গেছে, দিন দিন তাঁর এই খরচ বেড়েছে। কারণ, গত আগস্টে পুরো মাসে তিনি বিজ্ঞাপনে ব্যয় করেছেন ১৩ কোটি ডলার। নিউইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, অক্টোবরের শুরুতে কমলা হ্যারিসের প্রচার শিবিরের তহবিলে জমা পড়েছে ১৮ কোটি ২৬ লাখ ডলার। তিনি এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মিলে তাঁদের দল ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে তুলেছেন ১৮০ কোটি ডলার। অর্থ সংগ্রহে পিছিয়ে আছেন ট্রাম্প। অক্টোবরে তাঁর প্রচার তহবিলে জমা পড়েছে ৯ কোটি ২১ লাখ ডলার। এ ছাড়া পুরো নির্বাচনী প্রচারেও অর্থ সংগ্রহ হয়েছে কম। ২০২২ সালে তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। এর পর থেকে চলতি অক্টোবর পর্যন্ত তিনি অর্থ সংগ্রহ করতে পেরেছেন ১০০ কোটি ডলার। অর্থ সংগ্রহ কম হওয়ায় খরচও কম করতে পেরেছেন ট্রাম্প। অক্টোবরের প্রথম ১৬ দিনে তিনি ব্যয় করেছেন ১০ কোটি ডলার। এর মধ্যে বিজ্ঞাপনে তিনি ব্যয় করেছেন ৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। নিউইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, জুন, জুলাই ও আগস্টের চেয়ে তিনি বিজ্ঞাপনে ব্যয় বাড়িয়েছেন। তবে তাঁর হাতে আর বেশি অর্থ নেই ব্যয় করার মতো। তিনি বাকি সময়টায় ৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার ব্যয় করতে পারবেন। তবে এ তুলনায় কমলা হ্যারিসের হাতে অনেক বেশি অর্থ আছে। হিসাব অনুসারে, কমলার হাতে ১১ কোটি ৯০ লাখ ডলার আছে নির্বাচনের প্রচারে ব্যয় করার জন্য। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ডেমোক্রেটিক পার্টির তহবিলে কারা টাকা দিচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে কিছু মানুষের নাম জানা যাচ্ছে। তবে সিংহভাগ অর্থ কোথা থেকে আসছে, সেটা জানা যাচ্ছে না। কমলা হ্যারিসের প্রচারে যারা সহযোগী হিসেবে কাজ করছে, সেই সুপার পিএসির তহবিল এসেছে ৪ কোটি ডলার। এই অর্থ কোথা থেকে এসেছে, সেটা জানা যাচ্ছে না।  ট্রাম্পের পাশে ইলন মাস্ক ট্রাম্পের প্রচারের শুরু থেকেই আছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধনকুবের ইলন মাস্ক। আর্থিক এই খরার মধ্যে তিনি ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ট্রাম্পের জন্য গত ১৬ দিনে তিনি ব্যয় করেছেন ৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার। ট্রাম্পের জন্য তিনি বরাদ্দ রেখেছেন ১১ কোটি ৯০ লাখ ডলার। নিউইয়র্ক টাইমসের হিসাব বলছে, আর্থিক খরা কাটাতে অতিরিক্ত ৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলার ব্যয় করছেন তিনি।

গাজা-লেবাননে ‘তোমার মনে যা চায়, করো’: নেতানিয়াহুকে ট্রাম্প

গাজা-লেবাননে ‘তোমার মনে যা চায়, করো’: নেতানিয়াহুকে ট্রাম্প

ইরানে ইসরায়েলের হামলা শেষ, এখন শান্তি চায় যুক্তরাষ্ট্র

ইরানে ইসরায়েলের হামলা শেষ, এখন শান্তি চায় যুক্তরাষ্ট্র

নবীরা বলে গেছেন, কিয়ামতের শুরু হবে মধ্যপ্রাচ্যেই: ট্রাম্প

নবীরা বলে গেছেন, কিয়ামতের শুরু হবে মধ্যপ্রাচ্যেই: ট্রাম্প

এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রী কোটা ১ হাজারই বহাল থাকছে

এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রী কোটা ১ হাজারই বহাল থাকছে

খতিব রুহুল আমীনকে বয়কট ঘোষণা

খতিব রুহুল আমীনকে বয়কট ঘোষণা

২০২৫ সালে হজ-ওমরাহ পালনে সৌদির নতুন নির্দেশনা

২০২৫ সালে হজ-ওমরাহ পালনে সৌদির নতুন নির্দেশনা
বিয়ের পরপরই তাহসানের ‘একা ঘর আমার’
বিয়ের পরপরই তাহসানের ‘একা ঘর আমার’
আন্দোলন থেকে পাঠ্যবইয়ে র‍্যাপার হান্নান ও সেজান, যা বললেন তারা
আন্দোলন থেকে পাঠ্যবইয়ে র‍্যাপার হান্নান ও সেজান, যা বললেন তারা
শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শায়িত হলেন কবি হেলাল হাফিজ
শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শায়িত হলেন কবি হেলাল হাফিজ
দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ আর নেই
দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ আর নেই
শপথ নিলেন ফারুকী, স্বামী উপদেষ্টা হওয়ায় ভিডিওতে যা জানালেন তিশা
শপথ নিলেন ফারুকী, স্বামী উপদেষ্টা হওয়ায় ভিডিওতে যা জানালেন তিশা
উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন ফারুকী
উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন ফারুকী
‘কোনো আফসোস রাখতে চাই না, তাই চরিত্রটি করেছি’
‘কোনো আফসোস রাখতে চাই না, তাই চরিত্রটি করেছি’
শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের হদিস দিলেন নির্মাতা ফারুকী
শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের হদিস দিলেন নির্মাতা ফারুকী
প্রতারণার মামলায় সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
প্রতারণার মামলায় সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চেক প্রতারণার মামলায় ক্রিকেটার ও মাগুরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে সাকিবসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন, সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম। এর মধ্যে আসামি ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম আদালতে হাজিরা দেন। অপর আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।  মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামি সাকিবের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করে। তার বিপরীতে দুটি চেক ইস্যু করে সাকিবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। এরপর চেক উত্তোলন করতে গেলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। দুই চেকে টাকার পরিমাণ প্রায় চার কোটি পনেরো লাখ টাকা।

বড় জয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের

বড় জয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং নিষেধাজ্ঞায় সাকিব 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং নিষেধাজ্ঞায় সাকিব 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ

সফোস: ২০২৫ সালে সাইবার নিরাপত্তায় নিতে হবে যেসব পদক্ষেপ

সফোস: ২০২৫ সালে সাইবার নিরাপত্তায় নিতে হবে যেসব পদক্ষেপ

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় সাত দেশের ১১ প্রতিষ্ঠান, দেশীয় ৩৬১ প্যাভিলিয়ন

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় সাত দেশের ১১ প্রতিষ্ঠান, দেশীয় ৩৬১ প্যাভিলিয়ন

ভিভো এক্স২০০ এ চলছে প্রি-অর্ডার, থাকছে নিশ্চিত অফার

ভিভো এক্স২০০ এ চলছে প্রি-অর্ডার, থাকছে নিশ্চিত অফার
দ্বিতীয় চালানে ভারত থেকে এলো ২৭ হাজার টন চাল
দ্বিতীয় চালানে ভারত থেকে এলো ২৭ হাজার টন চাল
ভারত থেকে আমদানি করা প্রায় ২৭ হাজার টন চাল বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। চালবাহী জাহাজ রাত ৭টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাডা বন্দর থেকে ২৬ হাজার ৯৩৫ টন চাল নিয়ে এমবি এসডিআর ইউনিভার্স জাহাজটি রাত ৭টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। এটি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে ভারত থেকে আমদানি করা চালের দ্বিতীয় চালান। খাদ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, জাহাজে থাকা চালের নমুনা সংগ্রহ করে ভৌত পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের কাজ শুরু হবে। এজন্য ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

১০০ টাকা মোবাইল রিচার্জে করই দিতে হবে ৫৬ টাকা ৩০ পয়সা

১০০ টাকা মোবাইল রিচার্জে করই দিতে হবে ৫৬ টাকা ৩০ পয়সা

বাজারে চালের ঘাটতি নেই, দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক : বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাজারে চালের ঘাটতি নেই, দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক : বাণিজ্য উপদেষ্টা

ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমেছে, খাদ্যে ১২.৯২ শতাংশ

ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমেছে, খাদ্যে ১২.৯২ শতাংশ

এক নজরে ১১ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা, নো ১টি

এক নজরে ১১ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা, নো ১টি

২৩ কোম্পানি ইপিএস ও লভ্যাংশের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা

২৩ কোম্পানি ইপিএস ও লভ্যাংশের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা

১২ কোম্পানির ইপিএসের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা

১২ কোম্পানির ইপিএসের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
দুর্গাপূজার সঙ্গে ইলিশের কী সম্পর্ক
দুর্গাপূজার সঙ্গে ইলিশের কী সম্পর্ক
গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ সরকার দুর্গাপূজার আগে কয়েক হাজার টন ‘পদ্মার ইলিশ’ ভারতে রফতানি করে আসছে। সেই মাছের চালান মূলত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাজারগুলোতে যায়। এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমাদের দেশের মানুষ যাতে ইলিশ মাছ খেতে পারে তাই ভারতে ইলিশ রফতানি করা হবে না। পরে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে এসেছে। কিন্তু দুর্গাপূজার সাথে সত্যিই কি ইলিশ মাছ, আরও বিশেষ করে পদ্মার ইলিশ খাওয়ার কোনও যোগ আছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন দুর্গাপূজার যে ধর্মীয় আচার, সেখানে কোথাও ইলিশ মাছ বা পদ্মার ইলিশের প্রসঙ্গ নেই। এটি মূলত প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা একটি লোকাচার, যা এখন বাঙালিদের একাংশের ‘হুজুগ’-এ পরিণত হয়েছে। দুর্গাপূজার সময়ে, অর্থাৎ শরৎকালে ইলিশ মাছ খাওয়ার ‘হুজুগ’ সম্প্রতি শুরু হলেও গাঙ্গেয় বঙ্গদেশে ইলিশ মাছের কথা প্রাচীন সাহিত্যকর্ম এবং পুরাণে একাধিকবার উল্লিখিত হয়েছে বলে জানা যায়। ইলিশ মাছ নিয়ে লেখা বই ‘ইলিশ পুরাণ’-এ পশ্চিমবঙ্গের ইলিশ-গবেষক দিগেন বর্মন লিখছেন, “ইল্লিশো মধুর / স্নিগ্ধো রোচনো/ বহ্নিবর্জনঃ/ পিত্তিকৃৎ কফকৃৎ/ কিঞ্চিল্লঘু ধর্মোহ নিলাজহঃ, অর্থাৎ ইলিশ মাছ মধুর, স্নিগ্ধ, রোচক ও বলবর্দ্ধক, পিত্তকারী, কিঞ্চিৎ কফকারী, লঘু পুষ্টিকর ও বাতনাশক। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ইলিশ মাছের গুণাগুণ নিয়ে এভাবেই লেখা আছে। এ থেকে প্রমাণিত হয় ইলিশ মাছের প্রতি আমাদের আসক্তি অতি প্রাচীন। “ইলিশ মাছ নিয়ে তিনি লিখেন, ইলিশো খলিশশ্চৈব্ ভেটকিমর্দগুর এবচ/ রোহিতো মৎসরাজেন্দ্রঃ পশ্চমৎস্যা নিরামিষাঃ।। সব থেকে ভালো যে পাঁচটি মাছ, তার মাথায় রয়েছে ইলিশ। নিরামিষ ভোজীরাও নির্দ্বিধায় নিরামিষ হিসাবে ইলিশ মাছ খেতে পারে অবশ্য তাদের যদি তেমন খাবার ইচ্ছা থাকে,”। তিনি আরও লিখেছেন, “পদ্মপুরাণে রান্নার নানারকম বিবরণ আছে – তারকা তার নন্দাই লখিন্দরের জন্য যে রান্না করেছিলেন তাতে মাছ আর শাক দিয়ে রান্নার কথায় – রোহিতের মুণ্ড দিয়া রান্ধে মুলাশাক/ সরিষার শাক রান্ধে ইলিশার শিরে।“ বর্মনের লেখা থেকে এটা স্পষ্ট হয় যে বাঙালির রান্নায় ইলিশ মাছের উপস্থিতি বহু যুগ ধরেই রয়েছে। যদিও দুর্গাপূজার সঙ্গে ইলিশ মাছের কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন পুরাণ গবেষক শরদিন্দু উদ্দীপন। দুর্গাপূজায় ইলিশ পুরাণ গবেষক শরদিন্দু উদ্দীপন জানাচ্ছেন যে প্রাক-আর্যকাল থেকেই বাংলার নানা অঞ্চলের লোক-উৎসবে ইলিশ মাছ খাওয়ার প্রচলন ছিল। তার কথায়, ‘ইলিশ মাছের সঙ্গে বাঙালির খাদ্যাভ্যাসের একটা নিবিড় সম্পর্ক আছে। তার ফলে এই সময়ে নিম্ন বঙ্গে যতগুলো খাদ্যোৎসব হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকে, তার সবগুলোতেই ইলিশের উপস্থিতি পাওয়া যায়। সেই উৎসবগুলোকে এখনো এই অঞ্চলের লোক-জীবনকে ঘিরে রেখেছে। ‘কুড়মিদের করম উৎসব বা সাঁওতালদের কারাম উৎসবে যে নবপত্রিকার আরাধনা করা হয়, শাকম্ভরী দুর্গাপূজাতেও সেই নবপত্রিকার পূজা আমরা দেখে থাকি। প্রাচীন লোক-উৎসবগুলোর সঙ্গে এখনকার দুর্গাপূজার সম্পর্কটা এখানে। আবার গাসি পূজা, কুলোয় পূজা বা দক্ষিণবঙ্গের আরেকটি বিখ্যাত পূজা – রান্না পূজাতেও ইলিশ বাধ্যতামূলক। রান্না পূজাতে হাজার ব্যঞ্জন রান্না করা হলেও ইলিশ মাছ থাকবেই,” বলছিলেন গবেষক শরদিন্দু উদ্দীপন। তিনি বলছিলেন, দুর্গাপূজায় ইলিশ মাছ ভোগ দেওয়ার যে প্রথা এখন দেখা যায়, তার কোনো পৌরাণিক ব্যাখ্যা নেই। এই প্রথা শুরু হয় অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে, কলকাতায় যখন রাজা নব কৃষ্ণ দেব দুর্গাপূজা শুরু করলেন, তারপর থেকে। গোড়ার দিকের ওইসব দুর্গাপূজায় মূলত: বৈভব প্রদর্শনের অঙ্গ হিসাবেই ইলিশের প্রচলন শুরু হয়। তার আগে পর্যন্ত অবিভক্ত বঙ্গে ইলিশ মাছ ছিল লোক-উৎসবের অংশ। ইলিশ খাওয়ার সময়কাল বাঙালি হোটেল-রেস্তোরাঁয় তো বটেই, অনেক পশ্চিমা কায়দার হোটেলেও দুর্গাপূজার স্পেশাল মেনুতে ইলিশের পদ থাকে। আবার পূর্ববঙ্গীয়দের বাড়িতে লক্ষ্মীপূজার দিনে জোড়া ইলিশ খাওয়ার চল রয়েছে। সে দিনই ইলিশ খাওয়া বন্ধ হয়ে যায় প্রজননের সময় শুরু হয় বলে, আবার জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারিতে সরস্বতী পূজার দিনে ইলিশ খাওয়া শুরু হয়। দুর্গাপূজার আচার-রীতির সঙ্গে ইলিশ মাছের কোনো যোগ না পাওয়া গেলেও নিম্ন-বঙ্গ অঞ্চলে যে বর্ষাকালের লোক-উৎসবগুলোতে ইলিশের প্রচলন ছিল, তা একাধিক গবেষক জানাচ্ছেন। তারা আবার এটাও বলছেন পশ্চিমবঙ্গীয় এবং পূর্ববঙ্গীয় মানুষদের মধ্যে ইলিশ খাওয়ার সময়কালে ফারাক রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গীয়রা দুর্গাপূজার আগেই ইলিশ খাওয়া বন্ধ করে দেন, অন্যদিকে পূর্ববঙ্গীয়দের একাংশ দুর্গাপূজার পরে লক্ষ্মীপূজায় ইলিশ খেয়ে তার পরে ইতি টানেন। পদ্মার ইলিশ না গঙ্গার ইলিশ? দুর্গাপূজার আগে বাংলাদেশ থেকে ‘পদ্মার ইলিশ’ ভারতে রফতানি না হওয়া নিয়ে যারা সমাজ মাধ্যমে বিমর্ষ ভাব প্রকাশ করছেন, তাদের অতটাও মন খারাপ হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করছেন খাদ্য রসিক ও গবেষকরা। ইলিশ গবেষক দিগেন বর্মন তার বই ‘ইলিশ পুরাণ’-এ লিখেছেন, “আমরা গঙ্গার ইলিশ খেতে ভালো না পদ্মার ইলিশ ভাল তা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তর্ক করি। শুধু তাই নয় ঘটি আর বাঙালদের মধ্যে এ এক অন্যতম ঝগড়ার বিষয়। কমলকুমার মজুমদার ও রাধাপ্রসাদ গুপ্তর মতে গঙ্গার ইলিশ আর পদ্মার ইলিশের থেকে ভাল। আবার সাহিত্যিক “বুদ্ধদেব গুহ একবার বলেছিলেন ঢাকা থেকে বন্ধুর পাঠানো ইলিশ খেয়ে কলম ঠিক মত ধরতেই পারছি না। ইমপোর্টেড পদ্মার ইলিশের তেলে কলম পিছলে যাচ্ছে। সুলেখক যতীন্দ্রমোহন দত্ত ইলিশ নিয়ে তার লেখায় গঙ্গা আর পদ্মার ইলিশ নিয়ে এক ভারসাম্য আনার চেষ্টা করেছিলেন। তা হল, ‘পুবদেশের মাছে তেল আর কলকাতার ইলিশে সুগন্ধ বেশি। সূত্র: বিবিসি বাংলা

রমজানে সুস্থ থাকতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষ পরামর্শ

রমজানে সুস্থ থাকতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষ পরামর্শ

সেহেরিতে যেসব খাবার স্বাস্থ্যকর নয়

সেহেরিতে যেসব খাবার স্বাস্থ্যকর নয়

শরীরে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি হলে কী কী সমস্যা হয়?

শরীরে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি হলে কী কী সমস্যা হয়?

নামাজের সময়সূচি

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩২
*স্থানভেদে সময়ের পার্থক্য হতে পারে
মায়ের শেষ সম্বল ৫০ হাজার টাকায় ছেলের উদ্যোগ
মায়ের শেষ সম্বল ৫০ হাজার টাকায় ছেলের উদ্যোগ
চাকরি আবদুল বাকীকে কখনোই টানেনি। অভাবের সংসারে পরিবারের হাল ধরতে কখনো ফ্রিল্যান্সিং, কখনোবা টিউশনি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের এই শিক্ষার্থী। তাতেও মনের খেদ মিটছিল না। সব সময় উদ্যোগী হয়ে কিছু একটা করতে, উদ্যোক্তা হতে চেয়েছেন তিনি। গত ২১ সেপ্টেম্বর সেই স্বপ্নই পূরণ হয়েছে। তিন বন্ধু ও এক অনুজকে নিয়ে দিয়েছেন ‘আহার মেলা’। খাবারের এই দোকানে তাঁর সহযোগীরা হলেন রাজশাহী কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শাহাদাত হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের আল-মুত্তাকিন, আরবি বিভাগের আমির হামজা ও ফারসি বিভাগের সামিউল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসমাইল হোসেন সিরাজী একাডেমিক ভবনের উল্টো দিকে গেলেই চোখে পড়বে এই দোকান। আহার মেলায় ভাত, খিচুড়ি, ভর্তা, ডাল, মাছ, মাংস, সবজি ও ডিমের তরকারি পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৬০ ও ৭০ টাকার দুটি প্যাকেজ আছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন (শুক্র ও শনিবার) ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকে। আবদুল বাকী বলেন, ‘যেহেতু ক্লাস-পরীক্ষার সময়ে দোকানটি চালু থাকে, আমাদের অনেকেরও ওই সময় ক্লাস থাকে। যার যেদিন ক্লাস-পরীক্ষা থাকে, সে সেদিন থাকে না। যদি সবারই একসঙ্গে ক্লাস-পরীক্ষা থাকে, সেদিন দোকান বন্ধ রাখতে হয়।’ পারিবারিকভাবে সচ্ছল ছিলেন না বাকী। কলেজজীবন থেকে এ কাজ-ও কাজ করেছেন। দুই বছর আগে বাবা মারা গেলে আর্থিক দৈন্য আরও বেশি জেঁকে বসে। মূলত সে সময়ই ব্যবসার কথা ভাবতে থাকেন। মাকে পরিকল্পনার কথা শোনান। মা রাজি হন, নিজের শেষ সম্বল ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন ছেলের হাতে। এই মূলধনের ওপরই দাঁড়িয়ে আছে আহার মেলা। আপাতত ব্যবসা গোছানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন এই উদ্যোক্তা। ভবিষ্যতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আহারমেলার শাখা চালু করতে চান।

সফলতার সঙ্গে লেখাপড়ার সম্পর্ক কতটুকু

সফলতার সঙ্গে লেখাপড়ার সম্পর্ক কতটুকু

প্রাণবন্ত ক্যাম্পাসে এখন গবেষণায় জোর

প্রাণবন্ত ক্যাম্পাসে এখন গবেষণায় জোর

২৪ ঘণ্টাই পাশে থাকবে ‘অটোমামা’

২৪ ঘণ্টাই পাশে থাকবে ‘অটোমামা’

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম সুশোভন বাছাড়

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম সুশোভন বাছাড়

অনশন প্রত্যাহার করে জবি শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি

অনশন প্রত্যাহার করে জবি শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি

বই বিতরণ নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা 

বই বিতরণ নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা