ইরানের রাজধানী তেহরানসহ কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় শনিবার তিন দফায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এটা গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব বলে দাবি তেল আবিবের। ইরান বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় তাদের চার সেনা সদস্য নিহত হলেও ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখযোগ্য নয়। তবে যে কোনো আগ্রাসনের জবাব দেওয়া এবং আত্মরক্ষার অধিকার ও সক্ষমতা তাদের রয়েছে। ইরানের দিক থেকে তীব্র প্রতিশোধ আসতে পারে বলে মনে করছে উভয় পক্ষের মিত্ররা।
ইসরায়েল-ইরান হামলা-পাল্টা হামলা, হুমকি-প্রতিহুমকিতে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ভূত উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিশ্বনেতারা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, পাকিস্তানসহ বেশ কিছু দেশ ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। হামাস এবং হিজবুল্লাহ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের পক্ষে সাফাই গাইলেও বলেছে, যেন আর সংঘাত না হয়। পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে, এমন উসকানি ও পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন উত্তেজনা এড়াতে সর্বোচ্চ সংযমের পরামর্শ দিয়েছে। ইরানের পাশাপাশি লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের ১২টি জায়গা থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে। ইসরায়েলি বাহিনীও বৈরুতের দুই এলাকায় একই সতর্কতা জারি করেছে। নারী-শিশুসহ নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকের প্রাণ এবং সহায়-সম্পদহানি ঘটছে দুই পক্ষের সংঘাতে। এতে কোনো কল্যাণ নেই; এ বোধোদয় হওয়া চাই যুদ্ধংদেহি সব পক্ষের। আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের নিবৃত্ত করতে জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক সংস্থার দ্রুত সক্রিয় উদ্যোগ-পদক্ষেপ জরুরি।