দ্রুত পরিবর্ধিত প্রযুক্তি সুবিধায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভূমিকাকে প্রধান শক্তি হিসেবে মনে করেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দীন। আর এই যৌথ অংশীদারিত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে এআই সল্যুশন উদ্ভাবনে হাব হয়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের যৌথ উদ্যোগে দ্বিতীয় এনআরবি কনক্লেভ-এ এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেছেন, প্রবাসীদের বিশেজ্ঞতা দিয়ে এআই, আইওটি এবং সবুজ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশে জনসেবায় আমূল পরিবর্তন আনতে চায় বর্তমান সরকার। স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রযুক্তির সর্বচ্চ এবং একইসঙ্গে সর্বোত্তম ব্যবহার করতে চাই। আশা করি তারা আমাদের দেশের এবং বৈশ্বিক উদ্ভাবনের মধ্যে যে শূন্যতা আছে তা পূরণে বিশেষ অবদান রাখবেন। তাদের সহযোগিতাতেই রোগ নির্ণয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার, উদ্ভাবনী ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান এবং ফিনটেক সল্যুশনে আর্থিক অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি ঢেলে সাজানো সম্ভব হবে।
স্বাগত বক্তব্যে সরকারের সংস্কার উদ্যোগ প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগে অন্তর্ভূক্তিমূলক ও স্বচ্ছতা আনয়নে দেশে টেসসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে বলে জানান টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল রাকিব। তিনি বলেন, কাটিং এজ প্রযুক্তিতে প্রবাসীদের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের শিল্পায়নে নতুন নতুন সমাধান এনে দেবে। দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে তারা মেন্টরের ভূমিকা রাখতে পারবেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিংয়ে অবদান রাখবেন।
এরপরই এনআরবি কনক্লেভ আয়োজনের কারণ তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম।
উদ্বোধনী বক্তব্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেছেন, বিক্ষিপ্ত উদ্বাসনে পৃথিবীর যে দেশেই আমরা থাকি না কেন দেশের প্রয়োজনে কাজে লাগতে পারলে গৌরব বোধ করি। তেমনি একটি ডাকে আমি আজ উপদেষ্টা পরিষদে। এখানে এসে আমি দুটি অবচয় লক্ষ করেছি। একটি বাইরের এবং আরেকটি দেশের ভেতরের। এর ফলে জিডিপি অনুপাতে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং কর প্রদানে সম্ভবত সবচেয়ে নিচে। এই শুন্যতা পূরণ করতে না পরালে টেকসই হওয়া সম্ভব নয়। টাকা ছাপিয়ে মুদ্রাস্ফিতি, রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা অর্থ কমে যাওয়া রোধ করা যাবে না। এ কারণে ব্যক্তিগত বিনিয়োগ এবং বিদেশী একক বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আশার কথা হলো, আমরা বিশ্বে অটোমেশনে যাওয়া অষ্টম বৃহত্তম দেশ। সম্ভবত আকারে রাশিয়া এবং কানাডা মিলিয়ে আমাদের সমান হতে পারে। বয়স ভিত্তিক মানব সম্পদে জাপান ও জার্মানের মধ্যবয়সী জনগোষ্ঠী থেকে ২২ বছর এগিয়ে আছি। চীন ও সিঙ্গাপুরের চেয়ে এগিয়ে আছি ১২ বছর। ভিয়েতনামের চেয়ে আমাদের প্রজনন শক্তি দ্বিগুণ। ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির রসদে আমরা এগিয়ে আছি। মৌলিক সব কিছুই আছে।