বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ প্রয়াত কল্যাণী কাজীকে রোববার (১৪ মে) শেষ বারের মতো বিদায় জানালো পশ্চিমবঙ্গবাসী।
এদিন কলকাতার রবীন্দ্রসদন প্রাঙ্গণে রাখা হয়েছিল ছিল নজরুল সংগীত শিল্পী কল্যাণী কাজীর মরদেহ। সেখানে তাকে শেষবাবের মতো শ্রদ্ধা জানানো হয়।
কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ-দূতাবাসের প্রথম প্রেস সচিব রঞ্জন সেনসহ কলকাতার মেয়র ফিরাহাদ হাকিম, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, মেয়র ইন-কাউন্সিল দেবাশীষ কুমার এবং বিশিষ্টজনেরা কল্যাণী কাজীকে শ্রদ্ধা জানান।
এর আগে কল্যাণী কাজীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
গত শুক্রবার (১২ মে) ভোর ৫টার দিকে কলকাতা সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএম (পিজি)-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কল্যাণী কাজী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
কল্যাণী কাজীর ছেলে অরিন্দম কাজী জানিয়েছেন, বার্ধক্যজনিত কারণে মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
ছোট ছেলে অরিন্দম কাজী জানান, কলকাতার রবীন্দ্রসদন থেকে মাকে নিয়ে যাওয়া হবে দক্ষিণ কলকাতার ট্রাঙ্গুলার পার্কের বাসভবনে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে কবরস্থানে।
তিনি আরও বলেন, মায়ের শেষ ইচ্ছা ছিল ওই কবরস্থানে যেন তাকে দফন করা হয়। সেখানে আমার বাবা কাজী অনিরুদ্ধ ও চাচা কজী সব্যসাচি শায়িত আছেন।
মেয়র ফিরাহাদ হাকিম বলেন, ছোটবেলা থেকে যাদের ভাবধারায় আমরা বড় হয়েছি। এক এক করে সবাই বিদায় নিচ্ছেন। সমরেশ মজুমদার চলে গেলেন। নিশ্চিতভাবে সমরেশ মজুমদারের যাওয়াটা বড় ক্ষতি। তারপর কল্যাণী দিদি। যা অপুরণীয় ক্ষতি।