জুলাই বিপ্লব ইসলামপ্রিয় লেখক-সাংবাদিক মূল্যায়নের সুযোগ করে দিয়েছে

ফানাম নিউজ
  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:৪৫

দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, দেশের কয়েকটি বড় বড় পত্রিকার দিকে খেয়াল করলে দেখা যায় বাংলাদেশের পারিপার্শ্বিকতায় বিশিষ্টজন হতে হলে ভারতপন্থি ও ইসলামবিদ্বেষী হতে হবে। জুলাই বিপ্লব আমাদের দেশের ইসলামপ্রিয় লেখক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিকদের মূল্যায়নের সুযোগ করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে দেশের প্রথিতযশা তিন সম্পাদককে দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

১২তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ এ সংবর্ধনার আয়োজন করে। সংবর্ধনা প্রাপ্ত তিন সম্পাদক হলেন– দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দীন, দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ, দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।

মাহমুদুর রহমান বলেন, নব্বই শতাংশ মুসলমানের দেশ হওয়া সত্ত্বেও এ দেশের ইসলামপ্রিয় লেখক ও সাংবাদিকরা তাদের মেধার মূল্যায়ন পান না। এক্ষেত্রে ওআইসিরও কোনো ভূমিকা নেই। মুসলিম লেখকরাও পশ্চিমা বিশ্বের দেওয়া পুলিৎজার কিংবা নোবেল পুরস্কারের দিকে তাকিয়ে আছেন তাদের মেধার মূল্যায়নের জন্য। এটাই মুসলিম বিশ্বের ব্যর্থতা। এ কারণে আমাদের আবুল আসাদ ও আলমগীর মহিউদ্দীনের মতো প্রথিতযশা সাংবাদিক ও সম্পাদকরা মূল্যায়ন পান না।

তিনি বলেন, ১/১১ এর সময় একটা ভারতের দালাল সরকার ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মানুষের মধ্যে একটা ভুল ধারণা ছিল যে সেই সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এসেছিল। কিন্তু আমি তাদের ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে নয়া দিগন্তে সম্পাদকীয় পাতায় লিখতে শুরু করি। এজন্য ডিজিএফআইয়ের হুমকি-ধামকির মুখেও পড়তে হয়েছিল নয়া দিগন্ত কর্তৃপক্ষকে। তারা হুমকি উপেক্ষা আমার লেখা ছাপিয়েছিল।

তিনি দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদকে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তিনি শুধু ইসলামপ্রিয় মানুষ হওয়ার কারণে মেধার সঠিক মূল্যায়ন পাননি।

অনুষ্ঠানে দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ বলেন, আমাদের দেশে যে অসত্য বা হলুদ সাংবাদিকতার কথা বলা হয় এজন্য দায়ী সাংবাদিকরা নন। এজন্য দায়ী যারা সাংবাদিকদের খাটান বা আরও ওপরে আছেন তারা।

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, আজ সংবর্ধনা দেওয়া দেশের প্রথিতযশা তিন গুণী সম্পাদকের মাঝে তিনটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এজন্য আমরা তাদের সংবর্ধনা দিতে পেরে কৃতজ্ঞ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব সংবর্ধনা প্রাপ্ত তিন সম্পাদককে জীবন্ত কিংবদন্তি উল্লেখ করে বলেন, তাদের নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার বা বলার নেই। তারা বাংলাদেশ তথা এশিয়ার সাংবাদিকতার ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন। আগামী দিনে তারা তাদের কলমকে শানিত করে আরও উচ্চকিত কণ্ঠে জাতিকে পথ দেখাবেন আশা করছি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব। স্বাগত বক্তব্য দেন জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রধান রফিকুজ্জামান।

এছাড়া আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়