নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর রবীন্দ্র চর্চা উন্মুক্ত করা হয়েছে। রবীন্দ্র আদর্শকে ধারণ করে যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

রোববার (৮ মে) দেড়টার দিকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে বাংলাদেশ একদিন ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরতো, সেই বাংলাদেশ আজ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করেছে। বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণ হচ্ছে। জেলায় জেলায় মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথের সোনার বাংলাকে আর কখনো রোধ করা যাবে না, তার কৃষ্টি কালচার অনুসরণের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাবে। পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব খান রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করেছিল। তেমনই '৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া-এরশাদ-খালেদার আমলে রবীন্দ্র চর্চা নিষিদ্ধ ছিল। রবীন্দ্র গবেষকদের নির্যাতন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন আমরা রবীন্দ্রনাথকে অনুসরণ করতে পারি নাই। সেভাবে রবীন্দ্র চর্চা না হওয়ায় আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে যেতে পারিনি।

রাবীন্দ্রিক হৃদয় দিয়ে বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে মন্তব্য করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রবীন্দ্রনাথকে ভালোবাসতেন। তার গান ও কবিতা শুনতেন। দেশ স্বাধীনের পর 'আমার সোনার বাংলাকে' জাতীয় সংগীত করেছেন।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. ফারুখ আহম্মেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. শাহ আজম শান্তনু, সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শামীম আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চয়ন ইসলাম, পৌর মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদি প্রমুখ।

তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন ও বর্ণাঢ্য রবীন্দ্রমেলা।

সূত্র: আরটিভি