এটা ডাকসু ইলেকশন না, সিনিয়র মাদরাসার ইলেকশন : ফজলুর রহমান

ফানাম নিউজ
  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫১

একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনা-সমালোচনায় রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান। এবার তিনি ডাকসু ইলেকশনকে সিনিয়র মাদরাসার ইলেকশন বলে আরও একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।

বিএনপির আলোচিত এই নেতার মতে, শেখ হাসিনা সুবিধা করে দিয়েছে বলেই মাদরাসার ছেলেরা আলিম পাস করে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারছে। যারা শিবিরকে সমর্থন করছে।

সম্প্রতি একটি টক শোতে হাজির হয়ে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান।

ডাকসু প্রসঙ্গে ফজলুর রহমান বলেন, এটা কোনো ডাকসু ইলেকশন না। এটা হাটহাজারী মাদরাসায় যত ছাত্র আছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার কাছাকাছি ছাত্র আছে। এটা সিনিয়র মাদরাসার একটা ইলেকশন। এই সর্বনাশটা করে গেছে শেখ হাসিনা নিজে।

কিভাবে কইরা গেছে? মাদরাসায় যারা পড়ে তাদের আমি শ্রদ্ধা করি। মাদরাসার ছেলেরা যখন দাখিল পরীক্ষা দেয় এবং আলিম পরীক্ষা দেয়। এই দুইটা পরীক্ষায় ৯৯% মার্ক পায়। ৯০%-এর নিচে পায় না। মার্ক পাওয়া যেমন অঙ্কে যে রকম লেটার পায় তেমন। কিন্তু ইংরেজিতে কিন্তু লেটার পাওয়া যায় না। ১ হাজারের মধ্যে একজন লেটার পায় না।

তিনি বলেন, আর এই যে জেনারেল লাইন যেটা আমাদের মডার্ন লাইন যেটা, স্কুল-কলেজের লাইন— এখানে আপনি এসএসসি পরীক্ষা দেবেন আপনি বড়জোর ৬০%, ৭০% মার্কস পাইবেন। আপনি ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দেবেন তাই হবে। ওই যে শেখ হাসিনা সুবিধা করে দিয়েছে, কাজেই মাদরাসার ছেলেগুলো আলিম পাস করে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারবে, যে কারণে দলে দলে মাদরাসার ছাত্র সামনে এসে ভর্তি হচ্ছে। আর স্কুল-কলেজে যারা পড়ে এরা পেছনে চলে যাচ্ছে।

ফজলুর রহমান আরও বলেন, ঢাকা ইউনিভার্সিটিকে এখন কেউ ইউনিভার্সিটি বললেও আমি এটাকে কোনো ইউনিভার্সিটি মনে করি না। এগুলো তো অনর্থক কথা। এখন সাংবাদিকদেরও হাত-পা বেঁধে রেখেছে ইউনূস সাহেব। তাই এসব নিউজ করে সময় পার করছে।

বিএনপির সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে জামায়াত কখনোই পারবে না উল্লেখ করে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি যেহেতু আপনার সাথে খেলতে পারব না, আপনার সাথে আমি ভোটে পারব না। কোনো দিনই পারব না। মানুষ মাওলানা সাহেবদের ওয়াজ শুনতে যায় হাজারে হাজারে। আজহারি সাহেবের ওয়াজে ২ লাখ যায়, ৫ লাখ যায়। কিন্তু ভোট পাবে কত? যাত্রাবাড়ী বেশি মানুষ না খালি আমার সালাউদ্দিন হেবের ছেলের সাথে অথবা আমার ওই যে নবীর সাথে ভোট করে দেখুক তো আজহারি সাহেব কয় ভোট পায়? কাজেই এই ধর্মীয় রাজনীতি ওই যে পিআর চায় সিআর চায়, ৭% ভোট পায়, তাইলে হিসাব করলে ২১টা সিট পাবে। এমনিতে জামায়াত ইলেকশন করলে এবার ১% ভোট কমে ৬% হবে এবং ভোট সিট পাবে ১০টার নিচে। এত দিন তো কাঁথা গায়ে দিয়ে রেখেছিল। সুন্দর একটা কাঁথা। একাত্তর সনটা মানুষ ভুলে গিয়েছিল। তবে ৫ আগস্টের পর কাঁথার তলা থেকে বের হয়েছে আর বলছে দেখ আমাদের। আমরা কিন্তু আবার আসছি ফেরত। মানুষ এখন তাদের চিনে ফেলেছে যে এরা সেই রাজাকারের বংশধর। কাজেই এক পারসেন্ট ভোট কমবে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়