নোয়াখালীর চাটখিল ও কবিরহাটে দুই ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রাতে পৃথক স্থান থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, দুই ব্যবসায়ীর মৃত্যু রহস্যজনক।
গত রাত সাড়ে ১১টার দিকে চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের খিরিহাটি গ্রাম থেকে মো. শহীদুল ইসলামের (৫৫) এবং রাত পৌনে ১২টার দিকে কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মো. জাহিদ হোসেনের (২৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, খবর পেয়ে স্থানীয় দোকানদার মো. শহীদুল ইসলামের গলায় লুঙ্গি পেঁচানো মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি খিলপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের খিরিহাটি গ্রামের রুহির বাড়ির সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত তিনি আরও বলেন, শহীদুল ইসলাম এলাকায় একটি ছোট্ট দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। দীর্ঘদিন থেকে তিনি হাঁপানি রোগে ভুগছিলেন। তাছাড়া অভাবজনিত কারণে হতাশাগ্রস্তও ছিলেন। যে কোনো কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
অন্যদিকে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজের ১৩ ঘণ্টা পর ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গুড়া মিয়ার দোকান সংলগ্ন একটি পোলট্রি খামারের ডোবা থেকে ব্যবসায়ী মো. জাহিদ হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গাংচিল এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ব্যবসায়ীক পার্টনার মো. রাকিবকে (২৮) থানায় আনা হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আরও জানান, কোম্পানীগঞ্জের গাংচিলের জাহিদ ও কবিরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাকিব পার্টনারে কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গুড়া মিয়ার দোকান সংলগ্ন একটি প্রজেক্ট ভাড়া নিয়ে পোলট্রি খামারের ব্যবসা করে আসছেন। রোববার সকাল ৯টায় রাকিব নাস্তা খেয়ে খামারে এসে জাহিদকে না পেয়ে বাড়িতে গেছে ভেবে কাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে ফিরে না আসায় ফোন দিলে বাড়িতে যায়নি বলে জানান জাহিদের স্ত্রী। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে খামারের ডোবায় মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানালে তিনি পুলিশে খবর দেন।
উভয় থানা সূত্র জানায়, মরদেহগুলোর ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার (২৫ জুলাই) সকালে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুই থানায় দুটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত আছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র: জাগো নিউজ