খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে দুটি বন্য হাতি। আকস্মিক লোকালয়ে বন্য হাতির আগমনে জনমনে উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লোকালয়ে আসা হাতি দুটি মানিকছড়ি উপজেলা সদর থেকে অনেক দূরে গহীন অরণ্যে অবস্থান করছে। তবে হাতিগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছাতে কাজ করছে বনবিভাগ।
জানা গেছে, সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালের দিকে মানিকছড়ি সদরের অদূরে কর্ণেল বাগানের পশ্চিমে এয়াতলংপাড়া এলাকায় হঠাৎ দুইটি বন্য হাতির উপস্থিতি দেখা যায়। তার কিছুক্ষণ পর উৎসুক জনতা হাতি দুটিকে দেখতে ভিড় করে। এসময় বন বিভাগকে খবর দিলে বন বিভাগের লোকজন, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও স্থানীয়দের সহায়তায় উৎসুক জনতাকে শান্ত রাখার চেষ্টা করা হয়। পাশাপাশি হাতি দুটিকে বিরক্ত না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
এদিকে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পান্নাবিলের নাথপাড়া হরি মন্দির এলাকায় দিলীপ দাশের একটি মাটির ঘর ও একটি টিনশেড ঘরসহ চারপাশে ভাঙচুর চালায় লোকালয়ে আসা দুই হাতি। তবে এসময় জানমালের কোনো ক্ষতি হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. আজগর আলী বলেন, লোকালয়ে হাতি আসার খবর শুনে প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। পরে বনে ঢুকলে সামনে পড়ে গেলে দৌড়ে পালিয়ে আসি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আবুল হাশেম জানান, লোকালয়ে হাতি আসার খবরে স্থানীয়দের জানমালের নিরাপত্তায় বন বিভাগের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও পুলিশ সকাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। হাতি দুটিকে তাদের গন্তব্যে ফেরাতে কাজ করছে বন বিভাগের লোকজন। তবে এলাকাবাসী খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছে।
মানিকছড়ির লোকালয়ে আসা হাতিগুলো এখনো গহীন অরণ্যে অবস্থান করছে জানিয়ে মানিকছড়ি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহনুর আলম বলেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য সকাল থেকেই পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।
খাগড়াছড়ি জেলার সহকারী বন সংরক্ষক মো. মুজাম্মেল হোসেন জানান, খবর পেয়ে হাতিকে নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছাতে সন্ধ্যার পর মশাল, বাঁশি, টিন, আতশবাজিসহ প্রয়োজনীয় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
সূত্র: জাগো নিউজ