লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ছয় ছাত্রের চুল কেটে দেওয়া সেই মাদ্রাসাশিক্ষক মঞ্জুরুল কবির মঞ্জুকে জামিন দিয়েছেন আদালত। শিক্ষক মঞ্জু রায়পুর উপজেলার হামছাদী কাজির দীঘিরপাড় আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ও বামনী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির।
সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম ওই শিক্ষকের জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামির আইনজীবী কামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলার বাদী শাহেদা বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাদীর আপত্তি না থাকায় আদালতের বিচারক শিক্ষকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এ সময় আসামিকে আদালতে উপস্থিত করা হয়নি।
আদালত সূত্র জানায়, ১০ অক্টোবর শিক্ষক মঞ্জুকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতে উপস্থিত করে জামিন আবেদন করা হয়। ওই দিন আদালতের বিচারক তারেক আজিজ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ১৪ দিন পর ফের আবেদন ও বাদীর আপত্তি না থাকায় আদালত তাকে জামিন দেয়।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীরা ১৮ সেপ্টেম্বর শ্রেণিকক্ষে পাঠ্য কার্যক্রমে অংশ নেয়। একপর্যায়ে শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির দশম শ্রেণির (দাখিল) ছয় ছাত্রকে দাঁড় করিয়ে শ্রেণিকক্ষের সামনের বারান্দা আসতে বলেন। এ সময় তিনি উত্তেজিত হয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে একটি কেচি এনে একে-একে সবার মাথার টুপি সরিয়ে সামনের অংশের চুল এলোমেলোভাবে কেটে দেন।
পরে তারা লজ্জায় ক্লাস না করেই বেরিয়ে যায়। এ ঘটনার এক মিনিট ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ৮ অক্টোবর সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে দেখা যায়। ওই রাতেই শিক্ষক মঞ্জুকে উপজেলার বামনী ইউনিয়নের কাজির দীঘিরপাড় এলাকা থেকে আটক করা হয়।
মধ্যরাতেই মাদ্রাসাছাত্র শাহাদাত হোসেনের মা শাহেদা বেগম বাদী হয়ে শিশু নির্যাতন দমন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ৯ অক্টোবর বিকালে তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
সূত্র: যুগান্তর