ইসরায়েলের সঙ্গে গত মাসের যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরান। রোববার ইরানের সামরিক বাহিনীর নিয়মিত অপারেশন বিভাগের উপপ্রধান মাহমুদ মোসাভির বরাত দিয়ে দেশটির বার্তা সংস্থা দেফাহর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
দেফাহর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় ক্ষতিগ্রস্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিস্থাপন করেছে ইরান। গত জুন মাসে সংঘাত চলাকালে ইরানের আকাশসীমায় ব্যাপক আধিপত্য দেখায় ইসরায়েলের বিমান বাহিনী।
দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরনের আঘাত হানে ইসরায়েল। এর পাল্টা হিসেবে ধারাবাহিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় ইরানি সশস্ত্র বাহিনী।
মোসাভি বলেছেন, ‘‘আমাদের কিছু আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা গোপন করার মতো কিছু নয়। তবে আমাদের সহকর্মীরা দেশীয় সম্পদ ব্যবহার করে সেগুলো প্রতিস্থাপন করেছেন। পূর্ব-নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষিত যে ব্যবস্থা ছিল, তা দিয়ে আকাশসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।’’
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর আগেই ইরানের কাছে নিজেদের উৎপাদিত দূরপাল্লার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বাভার-৩৭৩ এর পাশাপাশি রাশিয়ার তৈরি এস-৩০০ ব্যবস্থাও ছিল। তবে যুদ্ধের পর গত কয়েক সপ্তাহে ইরানে কোনও বিদেশি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আমদানি করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি দেফাহ।
গত বছরের অক্টোবরে সীমিত পরিসরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানাগুলোতে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। এরপর এক সামরিক মহড়ায় রাশিয়ার তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রদর্শন করে ইরান। এই মহড়ার মাধ্যমে ইসরায়েলের ওই হামলার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেয় তেহরান।
সূত্র: রয়টার্স।