সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর ঘাড়ে বন্দুক রেখে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না। তাই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে চেতনা বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ২.০ সংস্কার এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রতিষ্ঠার দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক আলোচনা সভা তিনি এসব কথা বলেন।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ, যুবলীগকে মাঠে নামানোর চক্রান্ত করছেন। বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনা রেজিমের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ চাইলেও আর রাজনীতি করতে পারবে না। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগকে আমরা নিষিদ্ধ করব না। সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেই। প্রেস সচিব বলেছেন যে রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে। একটি দল কি আরেকটি দল নিষিদ্ধ করতে পারে? কোনোভাবেই পারে না। নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার একমাত্র সরকারের।
রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো দল না, আওয়ামী লীগ একটি রেজিম। যে রেজিমের প্রথমবার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শেখ মুজিব। বাংলাদেশে প্রথম যে হত্যা হয়, সেই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড শেখ মুজিব। জাসদের ৩০ হাজার নেতাকর্মীকে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে গণহত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশ, র্যাবসহ প্রত্যেকটা জায়গায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চলছে। যেসব পুলিশ, র্যাব, বিজিবির কর্মকর্তা ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়েছেন, তাদের কয়জনকে গ্রেপ্তার করেছেন? প্রতিটি জায়গা থেকে যদি একজন করে গ্রেপ্তার করা হতো তাহলে সংখ্যাটা হয় দুই হাজার। তার মানে এ সরকার খুনিদের রক্ষা করছে।
চেতনা বাংলাদেশের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ফয়সাল সালামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিন ও মায়ের ডাকের প্রধান সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলি প্রমুখ।