
ফ্যাসিবাদী শাসনামলে পরিকল্পিতভাবে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের হত্যাযোগ্য করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সেই ফ্যাসিবাদ উৎখাতে ছাত্রশিবির গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন তিনি।
বক্তব্যে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের বিজয় প্রমাণ করে, ছাত্রসমাজ লেজুরবৃত্তিক রাজনীতির পরিবর্তে গঠনমূলক রাজনীতি চায়। নৈতিক শিক্ষা ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতি গঠনে ভূমিকা রাখছে ছাত্রশিবির।
তিনি আরও বলেন, সায়েন্স ফেস্ট, বই পাঠ প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন সৃজনশীল আয়োজনের মাধ্যমে ছাত্রশিবির গঠনমূলক ছাত্ররাজনীতির চর্চা করছে। এসব কার্যক্রম ছাত্রসমাজকে ইতিবাচক পথে এগিয়ে নিতে সহায়ক হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গ তুলে ধরে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ফিলিস্তিন, আরাকান ও কাশ্মীরসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের রক্ষায় সংগ্রাম জারি রাখতে হবে। কোরআন ও জ্ঞানের আলোয় নিজেদের বিকশিত করে আলোর দিশারি হতে হবে। তিনি বলেন, ছাত্রশিবির ভবিষ্যতে পাঞ্জেরির ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।
সম্মেলনে শহীদ ওসমান হাদিকে নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় শহীদ শরিফ ও ওসমান হাদির ভাই ওমর ফারুক বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব আছে বলে তিনি মনে করেন না। তিনি বলেন, ‘যে দেশ থেকে হাদিকে গুলি করে ছয় ঘণ্টার মধ্যে খুনি পালিয়ে যেতে পারে, সেই দেশের সার্বভৌমত্ব আছে বলে মনে করি না।’ দেশের সার্বভৌমত্ব উদ্ধার করতে সবাইকে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।
ওমর ফারুক আরও বলেন, আধিপত্যবাদমুক্ত দেশ গঠন করতে না পারলে ইনসাফের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।