নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় চাকরির আশ্বাসে গৃহবধূকে (২৩) ডেকে নিয়ে নেশাদ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণের ভিডিও করার দায়ে যুবলীগ নেতা মো. ফুয়াদ আল মতিনকে (৩০) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত নোয়াখালীর বিচারিক হাকিম আদালতে তার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। এর পর আদালতের নির্দেশে আসামিকে রাত ৯টায় দিকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ৭নং আমলি আদালতের সিনিয়র বিচারিক হাকিম মো. তৌহিদুল ইসলাম ওই যুবলীগ নেতার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল মোস্তাফা।
তিনি বলেন, আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দোষ স্বীকার করেছেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আসামিকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালতসূত্রে জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি সকালে চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদ ইউনিয়নে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে নেশাদ্রব্য খাইয়ে গৃহবধূকে (২৩) ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। রাতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে চাটখিল থানায় দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।
মামলায় চাটখিল উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ আল মতিন এবং তার সহযোগীকে আসামি করা হয়।
মামলা রেকর্ড হওয়ার পর মঙ্গলবার পিবিআই নোয়াখালী কার্যালয়ে মামলাটি হস্তান্তর করা হয়। মামলা গ্রহণের পর পিবিআই আসামিকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে। ওই গৃহবধূ নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মামলার অভিযোগে ওই গৃহবধূ বলেন, চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে ফুয়াদ আল মতিন তাকে তার অফিসে ডেকে নেন। অফিসে যাওয়ার পর নেশাদ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করেন। এ সময় তার পাশে থাকা এক সহযোগী ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। তার পর তারা হুমকি দিয়ে বলে, এ ঘটনায় মামলা করা হলে বা কাউকে জানালে এ ভিডিও ভাইরাল করা হবে।