ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর এমএনবি ইটভাটায় মোজাম্মেল হক নামে এক কৃষককে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক গাজী দেলোয়ার হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় তিন আসামি আদলতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য দুজন পলাতক রয়েছেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- রানীশংকৈলের বলাঞ্চা গ্রামের কমির উদ্দীনের ছেলে নজরুল ইসলাম, একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ইউনুস আলী ও বদির উদ্দীনের ছেলে সেকেন্দার আলী। উপজেলার চন্দন চৌহাট গ্রামের কতিব উদ্দীনের ছেলে আব্দুল জলিল, বালিয়া ডাঙ্গী উপজেলার ভানোর বালিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে কোফিল উদ্দীন। প্রত্যেকে এক হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন আদালত। এর মধ্যে নজরুল ইসলাম ও সেকেন্দার আলী পলাতক রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল হামিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালে ১৩ এপ্রিল জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের সাহাবাজপুর এলাকার ভুট্টাক্ষেতে মাথাবিহীন লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
পরে পুলিশ সেখান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পরদিন ১৪ এপ্রিল বালিয়াডাঙ্গী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ১৫ মে হত্যার সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে আটজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলার চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, ইটের রং লাল করতে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেল হকে হত্যা করে তার মাথা চুল্লিতে ঢুকিয়ে দেয়। পরে কৌশলে লাশ ভুট্টাক্ষেতে ফেলে দেওয়া হয়।
সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালতের বিচারক পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। অপর তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়। মোজাম্মেল হক চাড়োল ইউনিয়নের শান মোহাম্মদের ছেলে।
এই মামলায় মোট ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সূত্র: দেশ রূপান্তর