বাগেরহাটের রামপাল ও মোংলা উপজেলায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মরছে ‘সাদা সোনা’খ্যাত চিংড়ি মাছ।
এর ফলে মৌসুমের শুরুতে এ দুই উপজেলায় চিংড়ি শিল্পে কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা করছেন চিংড়ি চাষিরা।
সোমবার (৯ মে) সকালে সরেজমিনে গিয়ে এই চিত্র জানা যায়। তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, অপরিকল্পিত ঘের করা ও ভাইরাসযুক্ত পোনা ছাড়ায় এমনটা হতে পারে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাগেরহাটের রামপাল ও মোংলা উপজেলায় চিংড়ি চাষি রয়েছে কয়েক হাজার। এ দুই উপজেলায় ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার চিংড়ি ঘের রয়েছে। গত এক সপ্তাহর ব্যবধানে এ দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চিংড়ি ঘেরে হঠাৎ করে মাছ মরতে শুরু করে। তবে কি কারণে চিংড়ি মরছে চাষিরা তার সঠিক কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। তবে চাষিরা ধারণা করছেন, ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই মাছগুলো মরে যাচ্ছে।
উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের চিংড়ি চাষি রাজীব সরদার বলেন, ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ ঘেরের চিংড়ি মরে শেষ। যারা ব্যাংক লোন নিয়ে চিংড়ি চাষ করেছে তারা একবারই নিঃস্ব হয়ে গেছে। এ উপজেলার রাজনগর, বাইনতলা ও পেড়িখালি ইউনিয়নের সব চিংড়ি ঘেরের অবস্থা একই রকম।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম রাসেল বলেন, জেলার রামপাল ও মোংলা উপজেলার প্রায় ২০ হাজার চিংড়ি ঘেরের ৩৫ শতাংশ ঘেরের মাছ মারা গেছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। তবে কি কারণে চিংড়ি মারা যাচ্ছে, সেটি বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা ধারণা করছি অতিরিক্ত গরম, হোয়াইট স্পট সিনড্রম ভাইরাস বা মৌসুমের শেষে ভাইরাস যুক্ত চিংড়ি ঘেরে ছাড়ার কারণে এমনটা হতে পারে।
সূত্র: আরটিভি