কুমিল্লার বুড়িচং এ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবিনা ইয়াছমিনকে আপা বলায় রাগান্বিত হয়ে মা ডাকতে বলার অভিযোগ করেছেন জামাল উদ্দিন (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ী। সোমবার (৪ অক্টোবর) বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। তবে ওই ব্যবসায়ী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। সূত্র: মানবজমিন
তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেন, সরকারি কর্মকর্তাদেরকে সাধারণ জনগণ স্যার বলতে হবে এটা কি বাধ্যতামূলক? এ বিষয়ে সরকারের কোনো আইন আছে কি? ফ্যাক্ট: বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (মহিলা) আপা বলার কারণে খুব রাগান্বিত হয়েছেন। এটা নাকি অফিস অ্যাড্রেস না। আপা না বলে মা ডাকতাম। আমি লজ্জিত। দেশটা কি মগের মুল্লুক?
ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াছমিনের নিকট একটি কাজে যাই। আইডি কার্ড দেখানোর সময় আপা বলাতে তিনি রাগান্বিত হয়ে বলেন, ‘আপা না বলে মা ডাকবেন’।
বিষয়টি আমার খুব খারাপ লেগেছে। উনি একটি উপজেলার অভিভাবক। এমন ব্যবহার আশা করা যায় না। মা ডাকতে বলায় বিষয়টি আমি মেনে নিতে পারিনি। আমার বয়স ৪৫, আমি কেন তাকে মা ডাকতে যাব।
এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবিনা ইয়াছমিন বলেন, জামাল উদ্দিন আমার বাবার বয়সী। ওনি আমাকে আপা বলাতে আমি বলেছি মা ডাকার জন্য। তিনি ম্যাডাম বলতে পারেন অথবা ইউএনও সাহেব ডাকতে পারেন। এ কথাই বলেছি। আর যদি কেউ কোন নারীকে দেখলেই আপা ডাকে তাহলে বুঝতে হবে তার চরিত্রে সমস্যা আছে। আমি স্যার বলতে বলিনি। যার এক পা কবরে চলে গেছে, সে আমাকে আপু ডাকলে অবশ্যই আমার আপত্তি আছে। আমার এখানে অনেক বয়স্ক লোক এসে আমাকে মা ডাকে।
এই বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল হাসানের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।