সারিবদ্ধ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে সবাই। একে একে আসছেন আর নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিচ্ছেন। ভোট কেন্দ্রে আছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা, ব্যালট, গোপন ভোটকক্ষসহ যাবতীয় সরঞ্জাম। ভোট শেষে ভোটারদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মিষ্টি আর সিঙাড়া।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ব্যতিক্রমধর্মী এমন ভোটের আয়োজন করেন দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যাপারীর পাড়া গ্রামের বাসিন্দারা। ওই গ্রামের দুজন ইউপি সদস্য নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন। তাই গ্রামবাসীরা প্রার্থী নির্বাচনের জন্য ভোটের আগেই এ আয়োজন করেন।
গ্রামবাসীর আয়োজিত এ প্রাক নির্বাচনে ১২৭ জন পুরুষ ভোটার অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচন বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা হিসেবে গোলাপ হোসেন নামের এক ব্যক্তি দায়িত্ব পালন করেন।
ভোটে মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও বকুল হোসেন নামের দুজন ইউপি সদস্য প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। নির্দিষ্ট সময় ভোট গণনা শেষে মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ২৩ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হন।
ওই গ্রামের বাসিন্দা মানিক হোসেন বলেন, ২৮ নভেম্বর স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন নির্বাচন হবে। ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যাপারীপাড়া থেকে ইউপি সদস্য পদে মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও বকুল হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রার্থী দুজনই আমাদের প্রিয় মানুষ। একই পাড়ার দুজন প্রার্থী হওয়ায় আমরা ভোটাররা প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিড়ম্বনায় পড়ি। ফলে গ্রামে নিজেদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমাদের এ আয়োজন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ওয়ার্ডে মোট পাঁচজন প্রার্থী মেম্বার নির্বাচনের জন্য প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এরা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, বকুল হোসেন, রশিদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, আরিফুল ইসলাম। তাদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, বকুল হোসেন একই গ্রামের বাসিন্দা।
নির্বাচন বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা গোলাপ হোসেন জানান, গ্রামের বাসিন্দাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটদানে ভোটারদের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে ১২৭ জন পুরুষ ভোটার ভোট দেন। ভোটে মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী বকুল হোসেন ৪৯ ভোট পান। আর ছয়টি ভোট নষ্ট হয়। ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে।
প্রাক-নির্বাচনে অংশ নেওয়া বকুল হোসেন বলেন, গ্রামের সব মানুষ আমাকে সমর্থন দেননি। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। ফলাফল মেনে নিয়েছি। সূত্র: জাগো নিউজ