বগুড়ায় ঘরে ঢুকে দুই নারীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে এক কিশোরী। বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে বগুড়া পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর।
নিহতরা হলেন— পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুস বুলুর স্ত্রী লাইলী বেওয়া (৮৩) এবং পারভেজ ইসলামের স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন (২১)। দুজন সম্পর্কে দাদি শাশুড়ি ও নাতবউ। এ ছাড়া এতে বন্যা নামে আরও একজন (কিশোরী) গুরুতর আহত হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের স্বজনরা জানান, সন্ধ্যায় বন্যা (স্কুলছাত্রী) তার ভাবি হাবিবা ও দাদি লাইলীর বাড়িতেই ছিলেন। দুর্বৃত্তের হামলার পর চিৎকারে স্বজনেরা ছুটে এসে বন্যা, লাইলী ও হাবিবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক লাইলী ও হাবিবাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর গুরুতর আহত অবস্থায় বন্যাকে সার্জারি বিভাগে নেওয়া হয়। তিনি এখনো সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
বন্যার চাচা আব্দুস সালাম বলেন, একটা ছেলের সঙ্গে বন্যার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্র ধরে বন্যাকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবার থেকে এই বিয়েতে আমরা কেউ রাজি ছিলাম না। এই ঘটনার জেরে হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
ছিলিমপুর মেডিকেল ফাঁড়ির এসআই গাজিউল হক বলেন, নিজ বাড়িতে সৈকত নামে একটি ছেলের সঙ্গে কথা বলছিল বন্যা। সেখানে কোনো একটি বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে বন্যাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাকে বাঁচাতে এলে প্রথমে হাবিবা ও পরে তাদের দাদি লাইলীকে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলে তারা মারা যান। আহত বন্যার শরীরের তিনটি স্থানে ছুরির আঘাতের চিহ্ন আছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আসামি ধরতে অভিযান শুরু করেছি। তবে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি।