পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নে দীঘিতে ডুবে রাসিব হাসান ইমন (২০) নামের এক তরুণ মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার চর মিরকামারী গাঙমাথাল দীঘি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরিদল।
সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে চাকরি হয়েছিল ইমনের। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে তার প্রশিক্ষণে যাওয়ার কথা ছিল। চাকরিতে যোগদানের আগে তিনি দীঘিতে গত এক সপ্তাহ নিয়মিত সাঁতার শিখছিলেন। ইমন ছলিমপুরের চর মিরকামারী সেন্টারপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের এইচএসসির ছাত্র ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সেনাবাহিনীতে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে ইমন গ্রামের বাড়ি গাঙমাথালের দীঘিতে প্রতিদিন সাঁতারের প্র্যাকটিস করতেন। মঙ্গলবার দুপুরের পর সাঁতার শিখতে দিঘিতে যান। একপর্যায়ে পানিতে তলিয়ে গিয়ে আর উঠতে পারেননি।
বন্ধুবান্ধব, এলাকার লোকজন ও স্থানীয় জেলেরা পানিতে নেমে জাল ফেলে তাকে খোঁজাখুঁজি করে। তারা না পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। তারাও ব্যর্থ হলে রাজশাহী থেকে ডুবুরিদলকে খবর দেওয়া হয়। অবশেষে রাজশাহী ও ঈশ্বরদীর ডুবুরিদলের সাড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ যুবকের নিখোঁজের সংবাদ শুনে দীঘির পাড়ে শত শত লোক ভিড় করেন।
ইমনের পিতা সিরাজুল ইসলাম জানান, তার ছেলের সেনাবাহিনীতে চাকরি হয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারি তার প্রশিক্ষণে যাওয়ার কথা ছিল। এজন্য গত কয়েকদিন ধরে সে দীঘিতে সাঁতার শিখছিল। কিন্তু চাকরিতে যোগ দেওয়া হলো না তার। তার আগেই ঘটে গেলো এই মর্মান্তিক ঘটনা।
নিহত ইমনের মামা নাসির হোসেন জানান, ইমন কয়েকদিন আগে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে নিয়োগ পায়। নিয়োগের পর থেকেই গত ছয়দিন ধরে চর মিরকামারী কাজিপাড়ার ওই দীঘিতে সাঁতার শিখতে যেতো। মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিদিনের মতো সাঁতার শেখার একপর্যায়ে সে পুকুরের পানিতে তলিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে ঈশ্বরদী থানা ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান মঙ্গলবার রাতে জানান, ‘সাঁতার শেখার সময় পানিতে ডুবে ইমনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ নিয়ে কোনো অভিযোগ না থাকায় মঙ্গলবার রাতেই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
সূত্র: জাগো নিউজ