নোনা জলের জোয়ার ভাটা, সুন্দরী গাছ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ আর বিচিত্ররূপের সুন্দরবন দেখতে প্রতিদিনই সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকায় আসছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। বৃহস্পতিবার বিজয় দিবসসহ শুক্র ও শনিবারের তিন দিনের টানা সরকারি ছুটিতে অনেকেই আসছেন সুন্দরবনে।
হঠাৎ বিপুল পর্যটকের আগমনে সাতক্ষীরার সুন্দরবন সংলগ্ন সরকারি ডাকবাংলো ও কোনো রিসোর্টে রুম খালি নেই। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বুড়িগোয়ালিনী জেলা পরিষদের ডাক বাংলো, উপজেলা প্রশাসনের আকাশনিলা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার, বে-সরকারি রিসোর্ট বরসা ও সুশিলন টাইগার পয়েন্টের সব কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) এসব রিসোর্টের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে ‘বরষা’ রিসোর্টের ইনচার্জ মো. রাজু জানান, আমাদের রিসোর্টে ৩৩টি রুম রয়েছে। বর্তমানে কোনো রুম খালি নেই। এছাড়া আগামী ১৬ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব কক্ষ অগ্রিম বুকিং রয়েছে। চলতি মাসে প্রচুর পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণে আসছে।
বন বিভাগের বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা এস এম সুলতান বলেন, করোনার কারণে গত বছর সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমাদের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। চলতি মৌসুমে সুন্দরবনে প্রতিদিন কয়েক হাজার পর্যটক ভ্রমণ করছে। এতে সরকারি রাজস্ব আয় বেড়েছে। পর্যটকদের নিরপদের সুন্দরবন ভ্রমণ নিশ্চিত করতে আমাদের বনরক্ষীরা নিয়মিত কাজ করছে। এছাড়া বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে বন বিভাগের নতুন একটি অফিস করা হয়েছে।
বুড়িগোয়ালিনী ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, চলতি মৌসুমে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকায় পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। এখন পর্যন্ত এখানে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি। সুন্দরবন ঘুরতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি।
সূত্র: জাগো নিউজ