একদিনের ব্যবধানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি কমেছে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল নওগাঁর বদলগাছীতে। একদিন আগে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গ্রাম-গঞ্জের মতো শীত নেমেছে নগরেও। সন্ধ্যার পর ঢাকায় শীত অনুভূত হচ্ছে। গায়ে জড়াতে হচ্ছে শীতের কাপড়। রাতে প্রয়োজন হচ্ছে লেপ-কাঁথার।
ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে আজ হয়েছে ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তাপমাত্রাও ক্রমে কমছে।
মঙ্গল ও বুধবার রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর ডিসেম্বর মাসের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ডিসেম্বরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে। এ মাসের শেষার্ধে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে দুটি মৃদু বা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কোনো বিস্তৃত এলাকাজুড়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি থাকলে মৃদু, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি থাকলে মাঝারি ও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি হলে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলে ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় আপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বুধবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল টেকনাফে, ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।