চলামন এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থানায় হওয়া মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে দুই শিক্ষক হামিদুল ও সোহেলকে বুধবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিল পুলিশ। পরে রাতে তাদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় পিয়ন সুজনকে।
গ্রেপ্তারা হলেন- ভূরুঙ্গামারীর নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক সোহেল চৌধুরী, কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুল ইসলাম ও পিয়ন সুজন মিয়া।
জানা গেছে, প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় এখন পর্যন্ত ভূরুঙ্গামারীর নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিবসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলায় বুধবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজির শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল ও ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক জোবায়ের ইসলামকে কারাগারে পাঠায় আদালত। তবে এ জাহারভুক্ত আরেক আসামি ও স্কুলের অফিস সহকারী আবু হানিফ পলাতক।
এদিকে বুধবার সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. কামরুল ইসলাম সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে চারটি পরীক্ষা স্থগিতের কথা বলা হয়েছে। তবে সেটি যে প্রশ্নফাঁসের কারণেই করা হয়েছে, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি। স্থগিত করা বিষয়গুলোর মধ্যে আছে গণিত, কৃষিবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান এবং পদার্থবিজ্ঞান।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. কামরুল ইসলাম বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আমরা একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। রিপোর্ট পেলে পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, বুধবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় নতুন করে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। তবে গ্রেপ্তারকৃত ছয়জনকে প্রয়োজনে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
উল্লেখ্য, ওই বিদ্যালয়ে কেন্দ্র থাকার সুবাদে কেন্দ্র সচিব ও গ্রেপ্তারকৃত দুই শিক্ষক প্রশ্নপত্রের দায়িত্বে ছিলেন। এ সময় তারা ওই প্রশ্নপত্র গোপনে নিয়ে যান। পরে নিজেদের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার আগের দিন হাতে লিখে সরবরাহ করেন। তবে প্রশ্নপত্র ৫০০ থেকে ২০০ টাকায় যত্রতত্র বিক্রির অভিযোগ ওঠে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পরে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।