অবশেষে ২০ দিন পর লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণ মামলায় ধর্ষক জয় কুড়িকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টায় সদর উপজেলা শহরের জুমুর সিনেমাহলের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সকাল ১১টায় থানা থেকে পুলিশ সুপার কার্যালয় ও আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটক জয় কুড়ি রায়পুর শহরের পুর্বলাচ গ্রামের কামাল ভুইয়া সড়কের হনার বাড়ীর স্বর্ণ ব্যাবসায়ী অনন্ত কুড়ীর ছেলে।
তবে অভিযুক্ত জয় কুড়ি বলেন, মেয়েটির বাবা মাদক ব্যাবসায়ী। আমি তাদের বাসায় মাদক সেবন করতে গিয়ে পরিচয়। তার সম্মতিতেই কক্সবাজার ও লক্ষ্মীপুর একটি বাসায় ছিলাম। একবার আমাদের দৈহিক মেলামেশা হয়েছে।
এদিকে-জয় কুড়িকে গ্রেপ্তারের দাবিতে গত দুইদিন ধরে সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনসহ আন্দোলন করে আসছিলেন।
জানা যায়, টগবগে সুদর্শন যুবক জয় কুড়ি মা-বাবার অবাধ্য হয়ে স্বর্ণ ব্যাবসার আড়ালে বন্ধুদের নিয়ে মাদক (ইয়াবা) সেবনে মেতে থাকতো । অপরদিকে, স্বর্ণ সুন্দরী তরুনীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে সর্বনাশ করতো। গত তিন মাস আগে রাতে ইয়াবা ক্রয়ের জন্য ফোন করে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের পাশে ভাড়াটিয়া মনির হোসেনকে (৫০)। কিন্তু এই ফোন রিসিভ করে তরুনী মেয়ে (১৪)। সেই সূত্র ধরেই জয় কুড়ি ওই তরুনীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক এবং দৈহিক মেলামেশা।
এই সূত্র ধরে ১৪ আগষ্ট সন্ধায় জয় কুড়ি তরুণীকে তাদের বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় কক্সবাজার। সেখানে তরুণীকে ৩দিন রাখার পর লক্ষ্মীপুর শহরে একটি বাসায় ৪দিন রেখে তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কপালে জয়কুড়ি সিঁধুর পড়াতে গেলে তখনই বিপত্তি ঘটে। এসময় তরুণীকে বুঝতে পারেন জয় কুড়ি হিন্দু। এসময় চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে তুলে আবার রায়পুর শহরের মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের সামনে ফেলে যায় বলে অভিযোগ করেছেন তরুণী।
রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভুইয়া বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় জয়কুড়িসহ তার ভাই, মা- বাবাকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন তরুণীর বাবা মনির হোসেন। বুধবার সকাল ৭টায় লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের জুমুর সিনেমাহলের সামনে থেকে মূল আসামি জয় কুড়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকাল ১১টায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।