টিকটক এখন আর বিনোদন বা হাস্য-রসের নয়। টিক টক এখন তাই ক্রিয়টরদের সঙ্গে বেড়ে উঠছে তরুণ ক্ষুদ্র ও কুটির ব্যবসায়ীদের নিয়ে। এদের একজন লাক্সারিয়াসের রথি আহমেদের টিকটকে ব্যবসায় হাতে খড়ি ৯বম শ্রেণী থেকেই। ২ বছর ধরে আর্টওয়ার্ক নিয়ে টিকটকে ‘খাওয়াই খোকা’ নামে দারুণ জনপ্রিয় আব্দুল্লাহ আল মুকরামিন। এছাড়াও আর্টস অব পিয়া’র নওরী আফরোজ ব্যবসায় করছেন টিকটকে। এদের ফলোয়ার ৮ লাখের ওপর। মাসিক আয় লাখের ঘরে।
এই ব্যবসায় প্রবৃদ্ধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে ফেসবুককে টপকে যেতে এবার বিশেষ নজর দিয়েছে টিকটক। বাংলাদেশে শতাধিক ক্ষুদ্র ও কুটির অনলাইন উদ্যোক্তাদের নিয়ে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার একটি রেস্টুরেন্টে আড্ডা দিলেন টিকটক বাংলাদেশের মুখপাত্র সারিকা ইকবাল।
আলাপকালে এই তরুণ উদ্যোক্তারা জানালেন, সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের সবার কাছে আমাদের সৃজনশীলতা ছড়িয়ে দেয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। তবে শুরুটায় বুলিংয়েরও শিকার হতে হয়েছিলো পিয়ার। ঘরের বানানো চুলের তেল বিক্রি করায় তার নাম হয় তেলওয়ালা পিয়া। তবে তাতে পাত্তা না দেওয়ায় আজ তিনি আর্টস অব পিয়া হয়ে ওঠেন। একইভাবে নিজের আঁকা ছবি টিকটক থেকেই বিক্রি করে ব্যবসায়ের মজা পেয়ে যান আব্দুল্লাহ মুকরামিন। হিজাব বিক্রি দিয়ে ব্যবসায় শুরু করে রথি।
‘টিকটক স্পটলাইট’ আড্ডায় টিকটক পেজ কীভাবে আরো সমৃদ্ধ করা যায় সে বিষয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন তারা। জানান, সেজেগুজে ভিডিও প্রকাশেই সব নয়। স্ট্রাগলের গল্পটাও পছন্দ হয়। ব্যাবসায়ের নিশ খুঁজে প্রতিদিন নিয়মিত কন্টেন্ট প্রকাশ করে লেগে থাকলেই সাফল্য আসবে।
এদের মতোই নবীন উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে টিকটককে আরো ব্যবসায় বান্ধব করতে আরো তিনটি সেশন নিয়েছেন টিকটক গ্লোবালের, আব্দুল্লাহ, তাবাসসুম ও সত্যক খান। অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশই ছিলো নারী।
কীভাবে টিকটক ক্রিয়েটর থেকে ব্যবসায়ী হয়ে উঠে উপার্জন করা যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয় একটি সেশনে। জানানো হয়, টিকটককে ব্যবসায় বান্ধব করতে হ্যাস ট্যাগ যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও কী কী হ্যাস ট্যাগ কন্টেন্ট বা ভিডিওকে ট্রেন্ডিং করে তোলে সেই কৌশলও শেয়ার করেন অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে। টিকটকের নিজস্ব টুলস দিয়ে ভিডিও সম্পাদনা, কপি রাইট ফ্রি মিউজিক ব্যবহার বিষয়ে আলোকপাত করেন টিকটক গ্লোবাল প্রতিনিধিরা।
আলোচনা হয় টিকটক বিজনেসের সিকিউরিটি কৌশল, বয়স ভিত্তিক কন্টেন্টে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হয় সেসব বিষয়। একইসঙ্গে সতর্ক করা হয়, ৩-৭ বার কন্টেন্ট বা ভিডিও নামিয়ে ফেলা হলে পেজই হারাতে হতে পারে ব্যবহারকারীদের।