আফগানিস্তানের হজ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৪ সালে হাজিদের কাছ নেওয়া যেসব অর্থ বেঁচে গেছে সেগুলো ফেরত দেওয়া হবে। অর্থ ফেরতের কার্যক্রম বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকেই রাজধানী কাবুল ও অন্যান্য প্রদেশে শুরুর ঘোষণা দিয়েছে তারা।
দেশটির ভারপ্রাপ্ত ধর্মমন্ত্রী নূর মোহাম্মদ সাকিব জানিয়েছেন, যে অর্থ বেঁচে গেছে সেখান থেকে প্রত্যেক হাজি ৩৭ ডলার এবং ৬১ আফগানি মুদ্রা করে ফেরত পাবেন।
মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, এ বছর হজের জন্য হাজিদের কাছ থেকে ১১ কোটি ৩০ লাখের বেশি ডলার সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেখান থেকে খরচ হয়েছে ১১ কোটি ২০ লাখের বেশি ডলার। বাকি অর্থ সরকারের কাছে রয়ে গেছে।
তিনি বলেছেন, “হজের খরচের নির্ভূল হিসাব-নিকাশের পর দেখা গেছে এ বছর সবমিলিয়ে হাজিদের পেছনে খরচ হয়েছে ১১ কোটি ২৩ লাখ ৪৭ হাজার ৮০০ ডলার ৮৩ সেন্ট (পয়সা)। এতে বেঁচে গেছে ১১ লাখ ১১ হাজার ১০ ডলার ১৪ সেন্ট। ফলে সব হাজি ৩৭ ডলার এবং ৬১ আফগানি করে ফেরত পাবেন।”
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাজিদের এসব অর্থ সংগ্রহ করার আহ্বান জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী সাকিব। যদিও তিনি বলেছেন, বেঁচে যাওয়া অর্থগুলো ব্যাংকে ট্রাস্ট হিসেবে রাখা আছে। যেহেতু এগুলো তাদেরই সম্পদ; তাই যে কোনো সময় সংগ্রহ করা যাবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এ বছরের মতো ২০২৫ সালেও আফগানিস্তান থেকে ৩০ হাজার মানষ হজ করার সুযোগ পাবেন। তবে তারা এই সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করবেন।
মন্ত্রী বলেছেন, “আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য পথে চেষ্টা করছি আমাদের জনগণ যেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পান এবং সৌদি আরবের কাছে আহ্বান জানান যেন আমাদের হজের কোটা বাড়ানো যায়।”