গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এক সেনাসহ ৭ ইসরায়েলি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ। দেশটির প্রসিকিউটররা বলছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করতেন। ইতোপূর্বে তারা তেহরানের জন্য শত শত কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত সবাই হাইফা এবং উত্তর জেউসের বাসিন্দা। এদের মধ্যে একজন সৈনিকও রয়েছেন, যিনি সামরিক বাহিনী থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। বাকিদের মধ্যে অন্তত দুই নাবালক। আর প্রাপ্তবয়স্করা হলেন, আজিস নিসানভ, আলেকজান্ডার সাদিকভ, ভ্যাচেস্লাভ গুশচিন, ইয়েভজেনি ইয়োফে এবং ইগাল নিসান।
আইডিএফের অভিযোগ, এই সাতজন একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইরানের হয়ে কাজ করতেন। মূলত তেল আবিবের কিরিয়া প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর এবং নেভাটিম এবং রামাত ডেভিড বিমান ঘাঁটি, আয়রন ডোম ব্যাটারি সাইটসহ আইডিএফ ঘাঁটির ছবি তোলা এবং তথ্য সংগ্রহ তাদের কাজ ছিল।
প্রসঙ্গত, এই বছরে ইসরায়েলে ইরানের চালানো দুইটি হামলাতেই নেভাটিম ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। পাশাপাশি রামাত ডেভিডকে লক্ষবস্তুতে পরিণত করেছিল হিজবুল্লাহ। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ইসরায়েলর বিভিন্ন কৌশলগত স্থানগুলোর মানচিত্র পাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। যার মধ্যে এই মাসের শুরুতে ড্রোন হামলা হওয়া গোলানি ঘাঁটির মানচিত্রও রয়েছে।
প্রসিকিউটররা বলছেন, পুলিশ এবং শিন বেট তদন্তকারীরা দেখেছেন যে সন্দেহভাজনরা ইরানী গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্য বিভিন্ন কাজ চালিয়েছে এবং ইরানি এজেন্টদের সঙ্গে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এই কাজের বিনিময়ে তাদেরকে কয়েক হাজার ডলার দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারীরা। আর্থিক এসব লেনদেনের জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সির সহায়তা নেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ।
প্রসিকিউটরদের মতে, এই নেটওয়ার্কের কয়েকজন দুই বছর ধরে ইরানের জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করেছে। বাকিরা সবাই গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গুপ্তচরবৃত্তি শুরু করেছেন। স্টেট অ্যাটর্নি অফিস বলেছে যে এটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তদন্ত করা সবচেয়ে গুরুতর মামলাগুলোর মধ্যে এটি একটি। প্রসিকিউটররা আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আটকে রাখার অনুরোধ করবেন বলেও জানানো হয়েছে।