ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার হামলা থেকে নিজেদের রক্ষায় ইউক্রেনকে এই অস্ত্র পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রাশিয়া এখন ব্যাপকভাবে ইউক্রেনের ওপর হামলা করছে বলেও মন্তব্য করেছেন মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, রাশিয়ার আক্রমণের মুখে ইউক্রেন যেন আত্মরক্ষা করতে পারে, সে জন্য দেশটিকে আরও অস্ত্র সহায়তা পাঠানো হবে বলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, এসব হবে মূলত প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র।
হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে নৈশভোজ শুরুর আগে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আমরা আরও কিছু অস্ত্র পাঠাতে যাচ্ছি। আমাদের এটা করতেই হবে। ইউক্রেনকে আত্মরক্ষার সুযোগ দিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ওরা (রাশিয়া) এখন প্রচণ্ডভাবে ইউক্রেনকে আঘাত করছে।”
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র কিছু অস্ত্র চালান বন্ধ রাখায় ইউক্রেন সতর্ক করে বলেছিল, এতে রাশিয়ার আকাশ ও স্থল হামলা ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ট্রাম্পের নিজ দলের কিছু রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট নেতারাও সমালোচনা করেন।
পরে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে ইউক্রেনে আরও প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র পাঠানো হবে, যাতে তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চলতে পারে।
পেন্টাগন আরও জানায়, বিশ্বজুড়ে মার্কিন সামরিক সরবরাহ পুনর্মূল্যায়নের প্রক্রিয়া এখনো চলছে। এর আগে গত শুক্রবার ট্রাম্প বলেছিলেন, ইউক্রেনের এখন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োজন, তবে সোমবার তিনি এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। পেন্টাগনের বিবৃতিতেও ঠিক কোন অস্ত্র পাঠানো হবে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
এর আগে গত শুক্রবার ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, তারা আকাশ প্রতিরক্ষায় সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে একমত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, দুই দেশ যৌথভাবে প্রতিরক্ষা উৎপাদন, ক্রয় ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছে।
রুশ বিমান হামলা ঠেকাতে ইউক্রেন বারবার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আরও প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ও সিস্টেম চেয়ে আসছে। জার্মানিও জানিয়েছে, ইউক্রেনের জন্য তারা প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছে, যাতে অস্ত্রের ঘাটতি কিছুটা পূরণ করা যায়।