দীর্ঘ ২ বছর বন্ধ থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারীতে রমনা বাজার-রংপুর, কাউনিয়া-রমনা বাজার রেলপথে চিলমারী কমিউটার ট্রেন চালু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টায় রমনা বাজার স্টেশনে ফিতা কেটে পতাকা উড়িয়ে ওই ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
জানা যায়, ২০২০ সালের ৮মার্চ দুপুরে চিলমারীর রমনা থেকে পার্বতীপুরগামী একটি ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। সেই ৮ মার্চ ২০২০ থেকে বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে চিলমারী কমিউটার নামে একটি ট্রেন চালু হয়।
চিলমারী কমিউটার নামের ওই মেইল ট্রেনটি রমনাবাজার স্টেশন থেকে ছেড়ে কাউনিয়া হয়ে রংপুর পর্যন্ত যাবে। আবার লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে ওই ট্রেনটি কাউনিয়া হয়ে রমনা বাজার আসবে বলে জানা গেছে।
চিলমারী কমিউটার ট্রেনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম,অতিরিক্ত সচিব (অব.) বদরুল আলম বাবুল,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মাহবুবুর রহমান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান আজাদ জামান, বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ, বিভাগীয় প্রকৌশলী আহসান হাবিব, বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশল (লোকো) শাহিনুর আলম অপু, বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশল ক্যারেজ এহতেসাম মোহাম্মদ সফিক,সহকারী ট্রাফিক সুপারইনটেনডেন্ট মো. আবু তাহের,সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা ফারুকুল ইসলাম,সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
সূত্র মতে, ১৯২৮ সালের ২ আগস্ট বন্দর নগরী চিলমারী থেকে প্রথম রেলপথে ট্রেন চালু হয়। তিস্তা থেকে কুড়িগ্রাম হয়ে চিলমারীর রমনা স্টেশন পর্যন্ত ৫৭ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ৪৩ কিলোমিটার রেলপথ পড়ে কুড়িগ্রাম জেলার ভেতরে। সে সময় যাত্রীদের সুবিধার্থে এই ৪৩ কিলোমিটার রেলপথে স্থাপন করা হয় আটটি স্টেশন।
ওই সময় কুড়িগ্রাম রেলপথ চালুর পর পার্বতীপুর-রমনা রেলপথে সকালে ও সন্ধ্যা মিলে দুটি ও লালমনিরহাট-রমনা পথে দুপুরে ও রাতে দুটিসহ মোট চারটি ট্রেন চালু ছিল।
২০০২ সালের দিকে হঠাৎ করে পার্বতীপুর-রমনা রুটে একটি ও লালমনিরহাট-রমনা রেল পথের দুটি ট্রেনসহ মোট তিনটি ট্রেন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে একটি ট্রেন পার্বতীপুর-রমনা রুটে সকালে রমনা এসে তিস্তা গিয়ে ফের দুপুরের চলাচল করছিল।
২০২০ সালের ৮ মার্চ ট্রেনটি রমনা থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর প্রায় ২৪ মাস তা চিলমারীতে আসেনি।
সূত্র: যুগান্তর