কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কাভার্ডভ্যানের চাপায় সিএনজি অটোরিকশার তিন নারীসহ পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরবের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র সেতু-সংলগ্ন জগন্নাথপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীন।
নিহতদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় শনাক্ত করেছে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ। তারা হলেন—নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার পিরিজপুর গ্রামের সিএনজি অটোরিকশাচালক শাহিন মিয়া (২৪) ও যাত্রী রাজন মিয়া (২২)।
নিহত অপর তিনজন নারীর পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। মরদেহগুলো ভৈরব হাইওয়ে থানায় রেখে তাদের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনার পর কাভার্ডভ্যানের চালক পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার বারৈচা এলাকা থেকে তিনজন নারী ও একজন পুরুষ যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভৈরবের দিকে আসছিল। অটোরিকশাটি পুরাতন ব্রহ্মপুত্র সেতু পাড়ি দিয়ে ভৈরব প্রান্তের জগন্নাথপুর এলাকায় পৌঁছালে একই দিক থেকে আসা ফ্রেশ কোম্পানির একটি কাভার্ডভ্যান সেটিকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দিলে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে গেলে চালক ও চার যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান।
স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আল আমীন মিয়ার নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ করেন। তিনি বলেন, উদ্ধারকাজ শেষে মৃতদেহগুলো ভৈরব হাইওয়ে থানার এএসআই রাসেল মিয়াকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভৈরব হাইওয়ে থানার এএসআই রাসেল মিয়া বলেন, মরদেহগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহত দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে, অপর তিনজনের পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে। স্বজনদের সন্ধান পাওয়ার পর বাকি প্রক্রিয়া চালানো হবে। দুর্ঘটনার পর দুটি কাভার্ডভ্যান ফেলে পালিয়ে গেছে চালকরা। তাদের নম্বর প্লেট দেখে নাম-ঠিকানা বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিন বলেন, দুটি কাভার্ডভ্যান আটক করে হাইওয়ে থানায় নেওয়া হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে।