রাজধানীর পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
রোববার মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আজ ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ বছর থেকে দিবসটি পালন করা হবে। তবে এ দিনে থাকবে না সরকারি ছুটি।’
এর আগে প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে পালনের ব্যবস্থা করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠি দেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রায়হানা ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শহীদ সেনা দিবস পালনের অনুমোদন দিয়েছেন প্রতিরক্ষা ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এক কর্মকর্তা বলেন, এখন শুধু প্রজ্ঞাপন জারি বাকি। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত সেনা পরিবারের সদস্যরা। ২৫ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ সেনা দিবস ঘোষণার পাশাপাশি বেশ কিছু দাবিতে আন্দোলন করছিলেন তারা।
এ বিষয়ে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত কর্নেল কুদরত ইলাহীর সন্তান অ্যাডভোকেট সাকিব রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আমরা শহীদ পরিবাররা দুটি জিনিস চেয়ে এসেছি। এক হচ্ছে স্বাধীন তদন্ত কমিশন করে পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখ উন্মোচন করে তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা এবং আরেক হচ্ছে প্রাণ হারানো সেনা কর্মকর্তাদের সম্মানে শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা।
তিনি বলেন, সরকার দিবস হিসেবে ঘোষণা দিলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করব যে, এত বছর সংগ্রাম করে আমরা শহীদ পরিবারের সদস্যরা অর্ধেক যুদ্ধ জিতে গেছি।
২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনা বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। কারণ, কোনো যুদ্ধ ছাড়াই একসঙ্গে এতজন সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার নজির বিশ্বে আর কোনো দেশে নেই।