নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের হাজীপুরে আলোচিত শিশু তাসপিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রিমন আদালতে জবানবন্দিতে গুলি করার কথা স্বীকার করেছেন।
নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম ১৬৪ ধারায় রিমনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক মো. সবজেল হোসেন রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মামলার প্রধান অভিযুক্ত রিমন শিশু তাসপিয়া ও তার বাবাকে গুলি চালানোর বিষয়টি আদালতে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতের কাছে ঘটনার বিশদ বর্ণনাও দিয়েছেন এই অভিযুক্ত।
এছাড়া একই বিচারক র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া অন্য চারজনকে পাঁচদিন করে পুলিশি রিমান্ডে পাঠিয়েছেন। তারা হলেন- সোহেল উদ্দিন মহিন (২৪), সুজন (২৬), নাইমুল ইসলাম (২১) এবং আকবর হোসেন (২৬)।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে নোয়াখালীর সূবর্ণচরের চরক্লার্ক থেকে তাসপিয়া হত্যা মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করে র্যাব। এর আগে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন- বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ৮নং ওয়ার্ডের মো. জসিম উদ্দিন (২৬), ইমাম হোসেন স্বপন (৩০), জসিম উদ্দিন বাবর (২৩) ও দাউদ নবী রবিন (১৭)। তারা সবাই কারাগারে আছেন। বাকি আসামিদেরও অচিরেই আইনের আওতায় আনা হবে।
র্যাব-১১ (সিপিসি-৩, কোম্পানি কমান্ডার) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন বলেন, আসামিদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বুধবার (২০ এপ্রিল) রাতে র্যাবের উপ-সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে জেলার চরজব্বর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেছেন।
গত ১৩ এপ্রিল বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় বাবার কোলে থাকা শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়া। গুলিবিদ্ধ হন শিশুটির বাবা সৌদি প্রবাসী মাওলানা আবু জাহেরও।
ঘটনার পরদিন ১৪ এপ্রিল তাসপিয়ার খালু হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে রিমন, মহিন, বাদশাসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।
সূত্র: জাগো নিউজ