চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় কামাল হোসেন (৬৫) নামে এক ঠিকাদারকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল সোমবার (৯ মে) দিনগত রাত ১২টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের ক্লিনিকপাড়ায় ওই ঘটনা ঘটে। নিহত কামাল হোসেন আলমডাঙ্গা উপজেলায় জেহালা গ্রামের মাঝেরপাড়ার মৃত জাহান আলী মাস্টারের ছেলে। তিনি বিএনপির নেতা ছিলেন। বর্তমানে ঠিকাদারির কাজ করতেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কামাল হোসেনের মামা মুন্সিগঞ্জ গ্রামের ক্লিনিকপাড়ার মৃত মোতালেব হোসেন। মোতালেব হোসেনের জামাই স্বাধীন আলীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কামাল হোসেনের শরিকানা জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার সকালেও দুজনের মধ্যে ঝামেলা হয়। তখন কামাল হোসেনকে খুন করার হুমকি দেয় স্বাধীন।
সোমবার রাতে বাড়ির বাইরে বের হলে ক্লিনিকপাড়ায় শ্বশুর বাড়ির সামনে একা পেয়ে কামালকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে যায় স্বাধীন। রাত ১২টার দিকে স্বাধীনের শ্বশুরবাড়ির সামনে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় কামালকে উদ্ধার স্থানীয় প্রতিজ্ঞা ক্লিনিকে নিয়েছে স্থানীয়রা। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে সদর হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী সেলিনা খাতুন বলেন, আমার স্বামীর সঙ্গে শরিকানা জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল স্বাধীনের। এরই জের ধরে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে স্বাধীন। মৃত্যুর আগে জিজ্ঞাসা করতেই স্বাধীন তাকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করেছে বলে জানায় আমার স্বামী। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরিফুজ্জামান শরীফ বলেন, দলীয় কোনো পদ না থাকলেও কামাল হোসেন বিএনপির একজন সক্রিয় নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহসানুল হক বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান কামাল হোসেন। বাম পাসহ তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। কান দিয়েও রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলিম বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বাধীন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
সূত্র: আরটিভি