ঝিনাইদহে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা চলাকালে ফেসবুকে লাইভ করা সেই ছাত্রলীগ নেতা মনির হোসেন সুমনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ফলাফল শিটে তাকে বহিষ্কৃতসহ একই কম্পিউটার একাডেমির সকল শিক্ষার্থীকে ফেল দেখানো হয়েছে।
সম্প্রতি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুর রহমান স্বাক্ষরিত ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া যায়।
কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন সুমন শহরের প্রিজম কম্পিউটার একাডেমির অফিস অ্যাপ্লিকেশন কোর্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।
জানা গেছে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশনের জুলাই-ডিসেম্বর সেশনে প্রিজম কম্পিউটার একাডেমি থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ফলাফলে একজনকে বহিষ্কৃত ও বাকি ১৪ জনের রোল নম্বরের পাশে ফেল (অকৃতকার্য) দেখানো হয়েছে।
গত ৮ এপ্রিল দুপুরে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে ছয় মাস মেয়াদি কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়ার সময় কক্ষ থেকে ৯ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের একটি ফেসবুক লাইভ করেন তিনি। এরপর ফেসবুকে লাইভটি মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়। শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
এরপর এ ঘটনা তদন্তে ৯ এপ্রিল ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চিফ ইন্সট্রাক্টর সোহরাব হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। একই রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে সদ্যবিলুপ্ত কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন সুমনের পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করে।
এ বিষয়ে প্রিজম কম্পিউটার একাডেমির পরিচালক বসির আহমেদ চন্দন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।