মৌসুমের প্রথম ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি এবং দীঘিনালার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে, ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকলে এসব নদীর পানি বেড়ে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া শালবন ও কুমিল্লাটিলাসহ বিভিন্ন এলাকায় বড় ধরনের পাহাড়ধসেরও আশঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে খাগড়াছড়ি পৌর কর্তৃপক্ষ।
দু'দিনের টানা বৃষ্টিতে দীঘিনালার মেরুং, কবাখালী, বোয়ালখালী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলোর রাস্তা-ঘাট বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
দীঘিনালার সড়কে পানি জমে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে সাজেক সড়কে যাতায়াতকারী পর্যটক ও স্থানীয়দের ভোগান্তি হচ্ছে। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও অতি বৃষ্টির ফলে খাগড়াছড়িতে পর্যটকের দেখা মেলেনি।
দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী বলেন, অতি বৃষ্টির কারণে মাইনী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় মেরুংয়ের নিচু এলাকায় পানি ওঠে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর ও দোকানপাট তলিয়ে যাচ্ছে। টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, এরই মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, ভারি বর্ষণে পাহাড়ধসের আশঙ্কা মাথায় রেখে দুটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা শহরে মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে।
সূত্র: জাগো নিউজ