শিক্ষক সংকটে যেন চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে না পড়ে, সে জন্য অডিও ভিজ্যুয়াল কনটেন্টের মাধ্যমে তাদের মানসম্পন্ন শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।
তিনি শনিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পুনর্বাসন খাত থেকে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, অনেক সময় চরাঞ্চলে শিক্ষক পাওয়া যায় না, আমরা সেটার দিকে নজর দিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা নানান রকম অডিও ভিজ্যুয়াল তৈরি করছি। চরাঞ্চলে শিক্ষক সংকট দূর করতে স্থানীয় পর্যায় থেকে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করবো। তবুও যদি আমরা উপযুক্ত শিক্ষক নাও পাই, তবে এই অডিও ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট মাধ্যমে তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করবো। যাতে করে তারা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয়।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে চরাঞ্চলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়, যেন বন্যা হলে সেগুলো ব্যবহার উপযোগী থাকে। তখন মানুষ ও গবাদিপশুসহ সকলে সেখানে নিরাপদে অবস্থান নেয়। বন্যার সময়ে স্কুলের কার্যক্রম চালিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। কিন্তু বন্যা পরবর্তী সময়ে সেই ঘাটটি পুষিয়ে নিতে আমাদের চেষ্টা করতে হবে।
পাঠ্যবই থেকে ইসলাম ধর্ম তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো পাঠ্যবই থেকে ইসলাম ধর্ম সরিয়ে ফেলা হয়নি। যা বলা হচ্ছে সবই মিথ্যা কথা। কাজেই আপনারা যারা সাংবাদিক রয়েছেন, তথ্য যাচাই করে সংবাদ দেওয়ার অনুরোধ জানাইমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জামাতের বিরাট একটি অংশ বিদেশে বসে এসব অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো তথ্যই যেন সঠিকতা যাচাই না করে আমরা অন্য কারও কাছে না দেই।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেঘনা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ১০১টি পরিবারের মাঝে ৫৬ লাখ টাকার চেক বিতরণ করেন তিনি।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইমতিয়াজ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ানসহ অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।