ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি ৫২ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে যা বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার বেশি। এর আগে সকাল ৯টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর বিভাগীয় উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাশেদিন ইসলাম তিস্তার পানি ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রোববার তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার নিচে পানি প্রবাহিত হয়। সোমবার দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচে ও বিকেল তিনটায় ১০ সেন্টিমিটার ওপরে দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার রেকর্ড করা হয়েছে। পরে তা সন্ধ্যা ছয়টায় তা ২৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে। ফলে ভাটি এলাকায় ধীরে ধীরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে, এই বছরে চতুর্থ দফা বন্যায় জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে পানি বৃদ্ধির ফলে পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান ইউনিয়নের বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউনিয়নের পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, কালমাটি, পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ভাটি এলাকায় রাত নাগাদ পানির প্রবাহ চলে আসবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জানতে চাইলে লালমনিরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি আরও বাড়তে পারে। পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারাজের সবকয়টি (৪৪টি) গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি।
সূত্র: জাগো নিউজ