শিরোনাম
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ দেশব্যাপী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের মন্তব্য ‘আমরা সুখে আছি, বেহেশতে আছি’ ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে সিলেট জেলা পরিষদের আয়োজনে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে ওই মন্তব্য নিয়ে কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেহেশতের কথা আমি বলেছি, কম্পারেটিভ টু আদার কান্ট্রি (অন্য দেশের তুলনায়)। আর আপনারা সব জায়গায় লিখেছেন ‘বেহেশত বলেছেন’, মানে টুইস্ট করা হয়েছে। আপনারা বলেননি যে আমাদের মূল্যস্ফীতি অন্য দেশের তুলনায় কম।
তিনি আরও বলেন, আমি বলেছি, অন্য দেশের তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি এবং তাদের তুলনায় আমরা বেহেশতে আছি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ আগস্ট) সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পে ‘ভূমি অধিগ্রহণবিষয়ক’ মতবিনিময় সভা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে চিঠি দিয়ে তাদের অর্থের তথ্য চাইলে তারা শুধু একজনের তথ্য দেয়। আরও কয়েকবার তথ্য চাওয়া হলেও তাদের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তথ্য চাওয়া হয়নি। সুইজারল্যান্ডকে বাংলাদেশের বন্ধু দেশ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের তথ্যের বিভ্রাট না করার পরামর্শ দেন।
দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে একটি পক্ষ প্যানিক ছড়ানোর জন্য এমন কথা বলছেন। এরপরই মন্ত্রীর ‘সুখে আছি, বেহেশতে আছি’ মন্তব্যকে ঘিরে দেশব্যাপী শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।