নোয়াখালীতে বাবাকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজিয়ে ভুয়া সনদে চাকরি নেওয়া পুলিশের এক কনস্টেবলকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত কনস্টেবল আরিফুল ইসলাম (৩২) নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের দরগা বাজার এলাকার নুরুল হকের ছেলে। তিনি রাঙ্গামাটি পুলিশ লাইনসে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি পলাতক।
নোয়াখালী দুদকের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবুল কাশেম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রচারিত রায়ে সাজা যুগপৎ হওয়ায় আসামিকে একটানা পাঁচ বছর সাজা খাটতে হবে। গ্রেফতারের দিন থেকে এ সাজা কার্যকর হবে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১ জুলাই পুলিশে কনস্টেবল পদে নিয়োগ পান আরিফ। সে সময় তিনি নিজের বাবাকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করে ভুয়া সনদ দাখিল করেন। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নিয়ে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন। নিয়োগের কিছু দিন পর বিষয়টি জানাজানি হলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ওই সনদ জাল বলে ঘোষণা দেয়।
এ ঘটনায় ২০১৩ সালে পুলিশ লাইনসের তৎকালীন রিজার্ভ অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে চাটখিল থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সাবেক সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) মশিউর রহমান কনস্টেবল আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।