কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে যৌনপীড়ন মামলায় বরখাস্ত মো. আব্দুল হালিমকে (৪০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে বিদ্যালয়ে মাসিক রিটার্ন তৈরির কাজে আসলে তাকে আটক করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, সকালে ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসলে খবর পেয়ে লোকজন বিদ্যালয়ের মাঠে জড়ো হতে থাকেন। লোকজন দেখে অভিযুক্ত শিক্ষক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ তাকে ধরে বিদ্যালয়ের কক্ষে আটক করে পুলিশ-শিক্ষা কর্মকর্তাকে খবর দেওয়া হয়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে ওই শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
মো. আব্দুল হালিম উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি কয়া ইউনিয়নের খলিশাদহ গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর টিসি দেওয়ার ভয় দেখিয়ে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন। ওই ছাত্রী বিষয়টি বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের জানালে ২ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনেমামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। পরে ২০ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করেন তিনি। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠালে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় মহিদুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। বরখাস্ত হয়েও বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করছেন তিনি। আজ আমরা আটক করি। পরে পুলিশ তাকে নিয়ে যান।
গরিবুল্লাহ নামের আরেকজন বলেন, বহিষ্কৃত হয়ে কিভাবে স্কুলে আসেন তিনি। তার (শিক্ষক) জন্য মেয়েরা স্কুলে আসা বন্ধ করে দিছে। এমন শিক্ষকের ফাঁসি হওয়া উচিত।
অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল হালিম বলেন, স্যাররা অফিসের কাজ বুঝছেন না। তাই সহযোগিতা করার জন্য বিদ্যালয়ে এসেছি। লোকজন ঝামেলা করতেছে। আমার ভুল হয়েছে। আমি মাপ চাচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. জিন্নাত আরা বলেন, বৃহস্পতিবার সকালেও তিনি উপজেলায় হাজিরা দিয়েছেন। কাউকে না জানিয়েই তিনি বিদ্যালয়ে গেছেন। কিন্তু তিনি বিদ্যালয়ে যেতে পারবেন না কোনো কাজও করতে পারবেন না।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, অবরুদ্ধ শিক্ষককে উদ্ধার করে থানা আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।