মিয়ানমার সীমান্ত থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাতায়াতকারী নৌযান লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের কারণে সাত দিন বন্ধ থাকার পর বিকল্প পথে ঝুঁকি নিয়ে চারটি ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফিরেছে হোটেলকর্মী, শ্রমিক ও বিভিন্ন কাজে গিয়ে আটকা পড়া আড়াই শতাধিক মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট থেকে চারটি ট্রলার টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে আড়াইটায় টেকনাফের মুন্ডারডেইল পৌঁছে। অন্যদিকে গোলাগুলি অব্যাহত থাকায় সেন্টমার্টিনবাসীর জন্য জেলা প্রশাসনের খাদ্যসামগ্রী বহনকারী নৌযান যেতে পারেনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাতায়াতকারী নৌযান লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের কারণে সাত দিন বন্ধ থাকার পর বিকল্প পথে চারটি ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফিরেছে হোটেলকর্মী, শ্রমিক ও বিভিন্ন কাজে গিয়ে আটকা পড়া আড়াই শতাধিক মানুষ। তবে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে টেকনাফ থেকে যে নৌযান সেন্টমার্টিন যাওয়ার কথা ছিল সেটি যেতে পারেনি। কারণ গতকাল থেকে নাফ নদীর একটি এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিকল্প পথে হয়ত আগামীকাল শুক্রবার কক্সবাজার থেকে এসব খাদ্যসামগ্রী পৌঁছাতে পারে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সাত দিন বন্ধ থাকার পর বিকল্প পথে ঝুঁকি নিয়ে টেকনাফের উদ্দেশ্যে চারটি ট্রলার ছেড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, সেন্টমার্টিনে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বেশি খাদ্যও মজুদ নেই। দ্বীপের মানুষের আতঙ্ক ছাড়ছে না।