গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় কৃষক হাসান হত্যা মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ আটজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ৮ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। সূত্র: যুগান্তর
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় দেন। এ সময় আদালতে ১৬ আসামির মধ্যে ১৩ জন উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নজরুল ইসলাম লেবু, আবদুর রউফ, জালাল উদ্দিন, গোলাম মোস্তফা, শাহলম, ফারুক মিয়া, মিজানুর রহমান ও আবু তালেব ওরফে গাওরা। তাদের বাড়ি পলাশবাড়ী উপজেলায়।
রাষ্ট্রপক্ষের সাবেক আইনজীবী শফিকুল ইসলাম শফিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের আগস্টে পলাশবাড়ী উপজেলার আমবাড়ি গ্রামের একটি কলেজের কমিটি কেন্দ্র করে অধ্যাপক মো. আব্দুলের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম লেবুর বিরোধ দেখা দেয়।
পরে এ ঘটনা কেন্দ্র করে নজরুলের লোকজন আব্দুলের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় পাশের সুইগ্রামের কৃষক হাসান আলী আব্দুলকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তিনিও আহত হন। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন পর দিন তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় হাসানের বড় ভাই আবুল কাশেম ১০ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করলেন আদালত।