‘পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল করায় পদ্মা সেতু না হওয়ার জন্য সরকার, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর পরিবার দায়ী। আওয়ামী লীগ আমলে পদ্মা সেতু হবে না। আমরা ক্ষমতায় এলে একটা নয়, দুটি পদ্মা সেতু বানাবো। (বেগম খালেদা জিয়া। দৈনিক মানবজমিন, ৩০ জুন ২০১২)’। ‘পদ্মা সেতু বানানোর কোনও ইচ্ছা সরকারের ছিল না। তাদের লক্ষ্য ছিল লুটপাট। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করা কল্পনা বিলাস বাদ দিন। (ব্যারিস্টার মওদুদ। দৈনিক ইত্তেফাক, ১১ জুলাই, ২০১২)’।
যে পদ্মা সেতু নিয়ে এমন কথা আজ থেকে দশ বছর আগে অন্য অনেকের সঙ্গে বলেছিলেন তাদের প্রথম জন, বিএনপি প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বর্তমানে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে কারাভোগ করছেন। অন্যজন বেগম খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যন্ত ক্ষমতাধর সদস্য ছিলেন। সংসদে দাঁড়িয়ে একবার বলেছিলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা করা বাংলাদেশের নৈতিক দায়িত্ব। কারণ, তারা তাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছেন। করোনাকালে তিনি পরলোক গমন করেছেন। বিশ্বব্যাংক যখন ২০১২ সালের ২৯ জুন নানা ধরনের বায়বীয় অজুহাতে পদ্মা সেতুতে প্রত্যাশিত ঋণ বাতিল করে, একই বছর ৮ জুলাই সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন বাংলাদেশ তার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করবে। তাঁর এই ঘোষণাতে চারদিকে বেশ হাস্যরোল সৃষ্টি হলো। হাসপাতালে চিকিৎসারত একজন সিনিয়র সাংবাদিক নিয়মিত হাসপাতাল থেকে টিভিতে এসে বলতে শুরু করেন ‘শেখ হাসিনা বাঁশের সাঁকো আর পদ্মার ওপর সেতুর মধ্যে পার্থক্য বুঝলেন না’।
তখন মনে মনে বলেছিলাম ‘দুটোর মধ্যে পার্থক্য বুঝলে ওই শেখ হাসিনাই বুঝেছেন, অন্য কেউ না বুঝতে পারেন।’ এই সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুর কৃপাধন্য। তাঁর বদান্যতায় স্বাধীন বাংলাদেশের সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন।
এমন কথা শুধু দু’একজন বলেননি। বলেছেন দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতিবিদ, সুশীল সমাজের একশ্রেণির চিন্তক, রাজনীতিবিদ এমনকি গোপনে খোদ আওয়ামী লীগের ভেতরের কোনও কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এসব ব্যক্তি নানাজনে, নানা উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যাংকের পদ্মা সেতুর ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন। তবে তাদের একটি অভিন্ন লক্ষ্য ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারকে জনগণের সামনে হেয় করা। এসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মধ্যে বিএনপি বা তাদের সমমনা মিডিয়া অথবা ব্যক্তিদের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক। কোনও কোনও মিডিয়ার জন্য বিশ্বব্যাংকের পদ্মা সেতু থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারটি ঈদের আনন্দ সৃষ্টি করেছিল। এই ব্যাপারে একটি ইংরেজি মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি। একটি বড় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হতে একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, যিনি কোনও রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত তেমন বলা যাবে না, তিনি একদিন অনেকটা ‘হায় হায়’ স্বরে বললেন ‘দেখেছেন ভাই শেখ হাসিনা দেশের কি সর্বনাশটা করলেন?’ আমি কিছুটা অবাক হয়ে জানতে চাই ‘শেখ হাসিনা আবার কি করলো?’ জবাবে উল্লেখিত অধ্যাপক একটি পত্রিকা বরাত দিয়ে বলেন ‘দেখেননি পদ্মা সেতুর সব অর্থ শেখ হাসিনা আর তাঁর পরিবার তুলে খেয়ে ফেলেছে বলে এই পত্রিকাটি খবর দিয়েছে?’ আমি আকাশ থেকে পড়ি। বলি, আমার জানামতে বিশ্বব্যাংক তো কোনও অর্থ ছাড় করেনি, তাহলে শেখ হাসিনা কীভাবে এই ঋণের টাকা খেয়ে ফেললেন?’
তার সাফ জবাব– যেহেতু এই পত্রিকায় খবরটি প্রকাশিত হয়েছে তা মিথ্যা হতে পারে না। তাঁকে বুঝানোর চেষ্টা করি ‘সব খবর সবসময় সত্য হয় না। তা বুঝ-বিচার করে বিশ্বাস করার ক্ষমতা আপনার নিশ্চয় আছে’। কে শোনে কার কথা। আমি নিজেই এই কুতর্কের অবসান ঘটাতে প্রসঙ্গ পাল্টাই।
যেহেতু যারা পদ্মা সেতু প্রকল্প হতে বিশ্বব্যাংক ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হতে সরে যাওয়ায় দুর্নীতির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে বেশ জোরেশোরে সরকার আর শেখ হাসিনার সমালোচনা করতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমে গেলো আর তাদের বক্তব্য স্বনামে বিভিন্ন মিডিয়া প্রচার করা শুরু করলো, তাদের নাম এখন নথিভুক্ত। তাই তাদের কয়েকজনের নাম পুনরুল্লেখ না করলেই নয়। এদের মধ্যে ছিলেন ড. আকবর আলি খান, ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, ড. এমাজউদ্দিন আহমদ, ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, ড. স্বপন আদনান, সাবেক আমলা ইনাম আহমদ চৌধুরী, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বদরুদ্দিন উমর, ড. হোসেন এইচ মনসুর, ড. সাদেক আহমেদ, ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ড. শাহদীন মালিক, ফরহাদ মাজহার, এম হাফিজ উদ্দিন খান প্রমুখ। এদের অনেকেই আওয়ামী লীগ হতে বিভিন্ন সময় সুবিধাভোগী বা কৃপাধন্য। তৎকালীন সেতুমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান এরা সকলে যে পদ্মা সেতুর কথিত দুর্নীতির সাথে জড়িত আছেন তা বলতে বিশ্বব্যাংক তো বটেই, সরকারের ভেতরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সাবেক আমলা বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে সাবেক আমলা হিসেবে এদের এটা চিন্তা করতে কষ্ট হয় যে বিশ্বব্যাংক বা অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ছাড়া দেশের কোনও উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া সম্ভব হতে পারে। সেই সময় দুর্নীতি কমিশনের একজন পরিচালক ছিলেন সাহাবউদ্দিন চুপ্পু। ক’দিন আগে তিনি একাধিক টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়ে পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন তাঁকে কীভাবে সরকারের দুজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বাড়িতে ডেকে নিয়ে চাপ সৃষ্টি করে সেতুমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করার জন্য। সাহাবুদ্দিন চুপ্পু রাজি হন না। কারণ, সেতুমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য কোনও প্রমাণ তো তাদের হাতে নেই। সেই দুই ক্ষমতাধর ব্যক্তি তার ওপর বেশ বিরক্ত হন। তাদের একজন বর্তমানে প্রয়াত। তারা মনে করেছিলেন সেতুমন্ত্রীকে গ্রেফতার করলে বিশ্বব্যাংক আবার ফিরে আসবে। কিছু দিন পর সেতুমন্ত্রী নিজেই তার পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
ড. মশিউর রহমান দীর্ঘ ছুটিতে যান। সেতু সচিবকে গ্রেফতার করে কারাগারে নেওয়া হয়, যেখানে তিনি প্রায় দেড় মাস কারাবন্দি থাকেন। কিন্তু কোনও কিছুতেই বিশ্বব্যাংক সন্তুষ্ট নয়। কারণ, অন্য আরেক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে তারা খুব ব্যস্ত আর সেই ষড়যন্ত্রের মূল কুশীলবরা এই বাংলাদেশেরই সন্তান, পশ্চিমা দুনিয়াতে বেশ সমাদৃত। তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন ড. আতিউর রহমান। তিনি আমাদের গ্রন্থিত পদ্মা সেতু নিয়ে একটি গ্রন্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসেছিলেন পদ্মা সেতু নিয়ে তার অভিজ্ঞতা আর ষড়যন্ত্রের কথা বলতে। তিনি সেই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে জানালেন তারা বিশ্বব্যাংকের এক সভায় অংশ নিতে ওয়াশিংটন ডিসিতে গিয়েছিলেন। সেই সভা শেষে তিনি বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী সভাপতি রবার্ট জোলিকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকারের জন্য তার একান্ত সচিবের কাছ থেকে একটু সময় চেয়ে নিয়েছিলেন। তারা যখন জোলিকের একান্ত সচিবের কক্ষে অপেক্ষা করছিলেন তার কিছু পর তারা দেখেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের কক্ষ থেকে তিন জন বাঙালি বের হচ্ছেন। তারা ড. আতিউরকে দেখে একটু অবাক হয়ে যান। এই তিন জন দেশে তো বটেই, তাদের একজন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশ পরিচিত।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ওই দিনই পদ্মা সেতুর অর্থায়ন একক সিদ্ধান্ত বলে বাতিল করে দেন। এমন সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন।
প্রায় প্রতিদিন বাংলাদেশের মিডিয়াতে পদ্মা সেতু, তার অর্থায়ন, ব্যয় ইত্যাদি নিয়ে জাতীয় সংসদ, বিভিন্ন মিডিয়াতে বিএনপির নেতানেত্রীরা ক্লান্তিহীনভাবে মিথ্যা বলতে থাকেন, যা যেকোনও মাপকাঠিতেই অজ্ঞতার চরম নিদর্শন। কখনও কখনও এমন কথাও বলেন, এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর তো খালেদা জিয়া স্থাপন করেছিলেন। তারা পদ্মা সেতুর নিচের অংশে নির্মাণ সমাপ্ত প্রায় রেল সংযোগকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সঙ্গে এক করে ফেলেছেন। তারা বুঝতে অপারগ যে দুটি পৃথক প্রকল্প। পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থে বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকারের সেতু বিভাগ আর রেল সংযোগ বাস্তবায়ন করছে রেল মন্ত্রণালয়। পরেরটার বাজেট হচ্ছে চল্লিশ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে চীনের অর্থায়ন হচ্ছে একুশ হাজার কোটি টাকা। পদ্মা সেতু না হলে এই রেল সংযোগ নির্মাণ কঠিন হতো। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ নেওয়া হবে। ইন্টারনেট সংযোগ ওপারের মানুষের জন্য এখন সহজ হবে এই সেতুর কারণে। এসব এই প্রকল্পের অংশ ছিল না। একটি বড় রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের এমন কথা অনেক গণ্ডমূর্খকে লজ্জিত করেছে।
সব ঠিকঠাক থাকলে আজ (২৫ জুন, শনিবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যিনি এই পদ্মা সেতুর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সেই সেতু উদ্বোধন করবেন বলে কথা রয়েছে।
পদ্মা সেতুর কারিগরি দিক নিয়ে দেশে ও আন্তর্জাতিক মহলে অনেক কথা হয়েছে, লেখালেখি হয়েছে। কটি পিলার, তার শক্তি কেমন এসব নিয়ে হিসাব-নিকাশ হয়েছে দেশে ও বিদেশে। কিন্তু এসব হিসাব-নিকাশের বাইরে আছে সবচেয়ে বড় পিলার, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি তাঁর নামে এই সেতুর নামকরণ করতে রাজি হননি। এটি তাঁর মহানুভবতা। কিন্তু যতদিন বাঙালি আর বাংলাদেশ থাকবে, যতদিন এই সেতুর ওপর দিয়ে মানুষ আর যানবাহন চলাচল করবে ততদিন শেখ হাসিনার নাম এই দেশের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে, যেমন আছে তাঁর পিতার নাম, যদিও তাঁর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে কম চেষ্টা হয়নি। তা সম্ভব হয়নি, হবেও না। সম্রাট শাহজাহান তাজমহল বানিয়েছিলেন। কোথাও তাঁর নাম লেখা নেই। কিন্তু সাক্ষী আছে ইতিহাস। পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটি বলা চলে।
পদ্মা সেতু শুধু এই বাংলাদেশের জন্যই আশীর্বাদ নয়। এই সেতু দুই বাংলা তথা ভারতের মধ্যেও মৈত্রী বন্ধনের নতুন মাত্রা যোগ করবে। বাড়বে মানুষে মানুষে যোগাযোগ আর বাড়বে বাণিজ্যের পরিমাণ। বাংলাদেশের জিডিপিতে যোগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার। মোট জিডিপির আকার আড়াই শতাংশ বাড়বে। ভারতের সঙ্গে বর্তমানে বাংলাদেশের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ এক বিলিয়ন ডলার। তা বেড়ে দুই বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে। সকালে কলকাতা যাত্রা করে কাজ সেরে রাতে ঢাকা ফেরা যাবে।
জয়তু শেখ হাসিনা। আপনি পিতার মতো আবার প্রমাণ করেছেন বাঙালি নিজের প্রচেষ্টায় করতে পারে না এমন কোনও কাজ নেই। ত্রিশ লক্ষ মানুষ যদি তাঁর ডাকে নিজ দেশের জন্য নিজের জীবন দিতে পারে, তারা শুধু পদ্মা সেতু নয়, আরও এমন অনেক বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে। প্রয়োজন শুধু আপনার মতো যোগ্য নেতৃত্ব। আপনি বাঙালিকে নিজের সক্ষমতার আস্থা ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে সতর্ক থাকতে হবে এটি মাথায় রেখে যে যারা দেশের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন তাঁরা এই যাত্রায় হয়তো পরাজিত হয়েছেন, কিন্তু আগামীতে এই মানুষগুলোই ছোবল মারতে উদগ্রীব হয়ে থাকবেন না তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি। এখনও অনেক কাজ বাকি। আপনার কথায় যেতে হবে অনেক দূর। বেছে নিন কাদের নিয়ে সামনের দীর্ঘপথ পাড়ি দেবেন। সাথে যারা আছেন তারা সবাই আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী নাও হতে পারেন।
লেখক: সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সূত্র: বাংলাট্রিবিউন