২০২০ সালের বইমেলা লেখক-প্রকাশকদের কেটেছে হতাশায়। পরের বছরও মহামারিতে টালমাটাল ছিল মেলা। এবারের মেলা যথাসময়ে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ফেব্রুয়ারির শুরুতে করোনার প্রকোপ বাড়ায় মেলা নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা। তবে ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরুর দিন থেকেই জমে উঠতে শুরু করে বইমেলা। প্রায় পুরো সময়টা জুড়ে ছিল দর্শনার্থী, পাঠকদের ভিড়। প্রকাশকরা স্বপ্ন দেখতে থাকেন দুই বছরের লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার। কিন্তু এবারের মেলায় ছিল আড্ডা বেশি, বিক্রি কম। প্রকাশক বিক্রয়কর্মীরা জানান, আগত দর্শনার্থীদের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ বই কিনতে এসেছেন।
প্রান্তিক প্রকাশনীগুলো জানাচ্ছে তাদের ক্রেতার পরিমাণ ১০-১৫ শতাংশ। বেশিরভাগই আসছেন ঘুরতে, ছবি তুলতে, ভিডিও করতে। নামকরা প্রকাশনীগুলো অবশ্য বলছে, গত দুই বছরের তুলনায় ভালোই সাড়া পেয়েছেন তারা।
মেলার ২৯তম দিন বুধবার মেলায় ঘুরে দেখায় যায়, দর্শকদের অধিকাংশই লেকের পাড়ে বা খাবার স্টলগুলোতে বসে আড্ডায় মেতেছেন। কেউ কেউ দল বেঁধে ছবি তুলছেন।
জোনাকি প্রকাশের স্টল ম্যানেজার মোখলেসুর রহমান বলেন, প্রথমদিকে বিক্রি কিছুটা কম ছিল। মাঝামাঝিতে কিছুটা বাড়ে। শেষ দিকে বিক্রি নেই বললেই চলে। এবারের মেলাও পুরোপুরি জমেনি। কারও কারও হয়তো ভালো হয়েছে।’
সাহিত্য প্রকাশের বিক্রয়কর্মী রোথিন দাশ বলেন, ‘এবারের বইমেলায় বিক্রি ওভাবে হয়নি। যেমন লোক সমাগম, তার ১৫ শতাংশও কিনেছে বলে মনে হয় না।’
অনন্যা প্রকাশের স্টল ম্যানেজার ফারুক আহমেদ বলেন, ‘গত বছর করোনায় মেলাই করতে পারিনি। তবে এবারের মেলাটা ভালো হয়েছে। মোটামুটি ভালো সাড়া পেয়েছি। আমার মতে, ৩০ শতাংশ এসেছিলেন বই কিনতে।’
শিখা প্রকাশনীর রাজন আহমেদ বললেন, বইমেলায় সবাই বই কিনতে আসবে না এটাই স্বাভাবিক। তবে গত দুই বছরের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে বলা চলে। তাছাড়া দ্রব্যমূল্যের যে অবস্থা তাতে মানুষ যে বই কিনছে সেটাই অনেক বেশি।’