বাংলাদেশে একটি অবাধ, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি ভারতে জি২০ সম্মেলনের আগে অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির বৈঠক শেষে এই আশ্বাস দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন ।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ‘আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ নিয়ে আলোচনা করেছেন। বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলেছেন আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন দেশের আসন্ন নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে না।
বৈঠক সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমইএ) বলেছে, বাংলাদেশের ‘ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গি’ কে স্বাগত জানিয়েছে ভারত যা শেখ হাসিনা সরকার এই বছরের শুরুতে চালু করেছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচিত সরকারের উচিত নির্বাচন পরিচালনা করা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল এক সময় স্টপ-গ্যাপ ব্যবস্থা। কিন্তু আমাদের দেশে একটি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা করা হয়েছে এবং তাই এটি আমাদের দেশে আইনত নিষিদ্ধ। আমরা কোনো মূল্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শর্ত মেনে নেব না। হঠাৎ কেউ এসে আমাদের নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে এমন ধারণা আমরা মেনে নেব না। আমাদের নীতি অনুযায়ী এটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা একটি অবাধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করব।’
প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচনের দাবি করে আসছে। এটি না হলে তারা নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছে।
জি২০ সম্মেলনের জন্য বর্তমানে দিল্লি রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন বিশ্বের ২৫টির বেশি দেশের নেতারা। আগামীকাল, ১০ সেপ্টেম্বর এই সম্মেলন শেষ হবে।